• হোম > আন্তর্জাতিক > যে কারণে চীনের অপেক্ষা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে

যে কারণে চীনের অপেক্ষা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে

  • মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:০২
  • ৪১৮

 যে কারণে চীনের অপেক্ষা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে

আফগানিস্তানে তালেবানের সরকার গঠনের পাঁচ দিনের মাথায় গত রোববার কাবুল সফরে যান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল সানি। সেখানে আফগান প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি।

কিন্তু দোহায় ফিরে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে, তালেবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এখনও আসেনি।

তালেবান সরকার গঠনের পর একমাত্র যে দেশটি সরাসরি অভিনন্দন জানিয়েছে, সেটি চীন। তালেবান সরকার গঠনের পরদিনই তারা তালেবান সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন একে ‘অরাজকতা’ বন্ধের জন্য একটি ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেন।

সেসময় তিনি বলেন, কাবুলে চীনা দূতাবাস সচল। আমরা নতুন আফগান সরকার এবং তাদের নেতাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।

তবে তালেবান যেভাবে সরকার গঠন করেছে বা সেই সরকার এখন পর্যন্ত যেভাবে আচরণ করছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো কথা চীন বলেনি।

অনেক পর্যবেক্ষক একে তালেবানের প্রতি পরোক্ষ স্বীকৃতি হিসাবে দেখলেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির দিনক্ষণের কোন ইঙ্গিত চীন দেয়নি।

গত সপ্তাহে চীন আফগানিস্তানের জন্য তিন কোটি মার্কিন ডলারের জরুরী খাদ্য এবং ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আফগানিস্তানে বিনিয়োগ নিয়ে দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত সপ্তাহে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকও হয়েছে।

লন্ডনে আফগান সাংবাদিক এবং আফগানিস্তানের রাজনীতির বিশ্লেষক সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নিজামী বিবিসিকে বলেন, কয়েকটি দেশ - বিশেষ করে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), চীন ও পাকিস্তান - তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির কোনো প্রতিশ্রুতি এখনও তারা দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে একটি দেশ যেন আরেকটি দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তারা কী করে। একজন সিদ্ধান্ত নিলেই আরেকটি এগুবে। পাকিস্তান তাকিয়ে চীনের দিকে, চীন হয়তো দেখছে পাকিস্তান কী করে। উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান চেয়ে আছে সম্ভবত রাশিয়ার দিকে।

তবে কুয়ালালামপুরে চীনা রাজনীতির বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী মনে করেন, তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রশ্নে চীন ধৈর্য ধরবে এবং জাতিসংঘের আওতায় একটি ঐক্যমত্যের সৃষ্টির চেষ্টা তারা হয়তো করতে পারে।

‘আমেরিকার পরাজয়ে চীন হয়তো খুশি, কিন্তু আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ভিন্ন একটি বিষয়,’ যোগ করেন তিনি।

ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, একটি যুদ্ধের মাধ্যমে তালেবান ক্ষমতা হয়তো নিয়েছে, কিন্তু তাদের সরকার কি পুরো আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? তাদের জনসমর্থনের মাত্রা তো এখনও নিশ্চিত নয়। আফগানিস্তানের ইতিহাস চীনের জানা এবং চীনারা ইতিহাসকে গুরুত্ব দেয়। তারা তাড়াহুড়ো করবে না।

সূত্র: যুগান্তর


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/112143 ,   Print Date & Time: Tuesday, 17 June 2025, 04:45:01 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group