• হোম > ঢাকা | বাংলাদেশ > ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সেজুঁতি ট্রাভেলসকে লিগ্যাল নোটিশ

৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সেজুঁতি ট্রাভেলসকে লিগ্যাল নোটিশ

  • মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৩৭
  • ৩৭৯

 ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সেজুঁতি ট্রাভেলসকে লিগ্যাল নোটিশ

যাত্রীদের ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সেজুঁতি ট্রাভেলসকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইন, বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি মাশহুদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু আজ সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।

এলআরএফ আয়োজিত পিকনিকের জন্য ভাড়া করা সেজুঁতি ট্রাভেলসের এসি গাড়িতে বৃষ্টির পানি পড়া এবং নির্ধারিত সময়ের কয়েকঘণ্টা পরে স্পটে গাড়ি পৌঁছানোসহ নানা রকমের ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়। সেঁজুতি ট্রাভেলসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দীনেশ চন্দ্র দাস এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে ৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করতে বলা হয়েছে নোটিশে। অন্যথায় পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা নোটিশে বলা হয়েছে।

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের দেয়া নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির বার্ষিক পিকনিকে যাওয়া-আসার জন্য সেজুঁতি ট্রাভেলসের তিনটি এসি বাস ভাড়া করা হয়। রিজার্ভ করা সত্ত্বেও যাত্রার শুরুর দিন এবং ফেরার দিন সঠিক সময়ে বাস সরবরাহ করেনি সেজুঁতি ট্রাভেলস। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, ভাল বাস সরবরাহ না করে ফিটনেসহীন বাস সরবরাহ করায় বৃষ্টিতে বাসের ভেতরে পানি ঢুকে। এতে বাসের ভেতরে বসা, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর বাসের বক্সের ভেতরে থাকা মালামাল ভিজে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সংগঠনটির সদস্যরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে। এছাড়া বিলম্বে গাড়ি পৌঁছানোয় পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ভোররাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে সংগঠনটির সদস্যদের।
নোটিশে আরও বলা হয়, বৃষ্টিতে ভেজার কারণে কয়েকজন সদস্য এবং তাদের শিশুসহ পরিবারের সদস্যরা জ্বরাক্রান্ত হয়। তাই চুক্তি অনুসারে ভালো বাস সরবরাহ না করায় চুক্তিভঙ্গ এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এতে সংগঠনটির সদস্য এবং তাদের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতি এবং দুর্দশার শিকার হন। তাই এই নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সংগঠনটিকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেজুঁতি ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীনেশ চন্দ্র দাস নিজেদের দোষ স্বীকার করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ সময় গাড়ি গুলো বন্ধ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পড়ে ছিল। কোন ধরনের কাজ করানো হয়নি। হঠাৎ করে সব কিছু খুলে দেওয়ায় গাড়ি গুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষাও করতে পারিনি। এটা আসলে আমাদেরই ব্যর্থতা।

সূত্র: বিডি-প্রতিদিন


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/112397 ,   Print Date & Time: Sunday, 1 June 2025, 07:02:42 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group