• হোম > বাংলাদেশ > পুরোনো বদলে ঘরে আনুন নতুন রেফ্রিজারেটর

পুরোনো বদলে ঘরে আনুন নতুন রেফ্রিজারেটর

  • বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:১৬
  • ৩৭৫

 পুরোনো বদলে ঘরে আনুন নতুন রেফ্রিজারেটর

বেশ কিছুদিন ধরে ‘অযান্ত্রিক’র মতো শব্দ করে যাচ্ছে নাবিলা ও ফারুক আহমেদের রান্নাঘরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ রেফ্রিজারেটর। ষাটোর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ফারুক এখনো স্পষ্টভাবে মনে করতে পারেন না ঠিক কবে তিনি তার এই রেফ্রিজারেটরটি কিনেছিলেন। রেফ্রিজারেটরটির বয়সও প্রায় ৩০ এর কাছাকাছি হয়ে গেছে। সংসার জীবনের শুরুর প্রথম দিকে কেনা এ রেফ্রিজারটিই তার বড় বাজেটের অনুষঙ্গের মধ্যে অন্যতম ছিল।

নাবিলা-ফারুক দম্পতির তৃতীয় সন্তান জন্মের পরপরই তারা নতুন বাসায় ওঠেন। আর তখন থেকেই রেফ্রিজারেটরটি তাদের রান্নাঘরেই আছে। রেফ্রিজারেটটির এখন যেন অনেকটাই বৃদ্ধ ও স্বাভাবিকভাবেই পুরানো হয়ে গেছে। তাই এর ভেতরের অযান্ত্রিকের শব্দটাও দিনে দিনে আরও কর্কশ হয়ে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে একদিন বিকেলে রেফ্রিজারেটটির পেছনে অনেক সময় ব্যয় করলেন ফারুক সাহেব। নিজে কিছু করতে না পেরে ডেকে আনলেন মেকানিক। সার্ভিসিং ছাড়াও অন্যান্য পার্টস বাবদ তার আশঙ্কার চেয়েও রেফ্রিজারেটরের পেছনে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে গেলো তার। সাথে দিতে হয়েছে অনেক সময় ও শ্রম। তবে তাকে সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে তার সঞ্চয় থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বেরিয়ে যাওয়া অনেকগুলো টাকা। এ ছাড়া বেশ পুরানো মডেল ও প্রযুক্তির এ রেফ্রিজারেটরটি এখন পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী সেবাও দিতে পারছে না। তাই তার দুশ্চিন্তা হচ্ছে ঠিক করানোর পরেও আবার কবে নষ্ট হয় তার পরিবারের পুরানো এ সঙ্গী।

ফারুক সাহেবের বড় ছেলে রাফি তাদের সংসারের এ পুরোনো পণ্যগুলোর ব্যাপারে তার বাবা-মায়ের অনুভূতির ব্যাপারটা জানেন। এখনও কীভাবে তার বাবা-মা পুরানো জিনিসগুলোকে আগলে রেখেছেন। কারণ, চাইলেই তো সবসময় হুট করে নতুন করে রেফ্রিজারেটরের মতো পণ্য কিনে আনা যায় না। তবে, তিনি ভেবে রেখেছিলেন সুযোগ মতো নতুন একটি রেফ্রিজারেটর কিনবেন। সম্প্রতি নতুন চাকরিতে যোগদান করেছেন। এবার তিনিও ৩০ বছর আগে তার বাবার মতোই ভাবছেন নতুন করে আধুনিক একটি রেফ্রিজারেটর কিনবেন।

শুধু নাবিলা-ফারুক দম্পতিই নয়, অনেক পরিবারই এখনও তাদের সে বেশ পুরানো টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করে যাচ্ছেন। অনেক সময় এসব অ্যাপ্লায়েন্স মেরামত করার পেছনে অনেক টাকা খরচ হলেও। হয়তো সাময়িকভাবে মনে হয় না। অনেকগুলো টাকা খরচ হচ্ছে, কিন্তু একসাথে হিসাব মেলাতে গেলে হিমশিম খেতে হয়।

নাবিলা ও ফারুক দম্পতির কাছে রেফ্রিজারেটর তাদের জীবনের অনেককিছু সাক্ষী হয়ে থাকলেও পুরানো এ রেফ্রিজারেটর তাদের বোঝা হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে একদিন রাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্ল্যাটফর্মে দেখতে পায় আকর্ষণীয় এক অফার। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স রিটেইলার সিঙ্গার বাংলাদেশ তাদের নতুন ‘অটাম অফার’ নিয়ে এসেছে। এ অফারে রেফ্রিজারেটর এক্সচেঞ্জ করারও সুযোগ দিচ্ছে সিঙ্গার। যার মাধ্যমে রাফি সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ অফার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি সিঙ্গারের নতুন সকল রেফ্রিজারেটর মডেলে ৫ শতাংশ ছাড়ও পাবে। আরও সুবিধা হিসেবে থাকছে বিনা সুদে ১২ মাসের সহজ কিস্তিতে মুল্য পরিশোধের সুযোগ। এমন সুযোগ আর হাতছাড়া করেনি রাফি। একচেঞ্জ অফারে ইএমআই সুবিধায় সে কিনে ফেলে নতুন রেফ্রিজারেটর।

দশ বছরের কমপ্রেসর ওয়্যারেন্টি ও দুই বছরের সার্ভিস ওয়্যারেন্টিসহ সিঙ্গারের নতুন এই ক্যাম্পেইন তাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, যারা এখনই পুরানো রেফ্রিজারেটর বদলে নতুন ও আধুনিক রেফ্রিজারেটর কিনতে চান। বিদ্যুৎ খরচ হ্রাসে সিঙ্গারের রেফ্রিজারেটর ব্যবহৃত হয়েছে উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, যা কমাবে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ।

এ ছাড়া ক্রেতাদের সুবিধায় সিঙ্গারের রেফ্রিজারেটরে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট ডোর, যা রেফ্রিজারেটরের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ার জন্মানো প্রতিহত করতে ভূমিকা রাখে। সিঙ্গার রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়েছে ফাস্ট ফ্রিজ টেকনোলজি। মডেল ভেদে রেফ্রিজারেটর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪,৫৯০/= থেকে ১,৫৩,০০০/= টাকা পর্যন্ত।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/113929 ,   Print Date & Time: Sunday, 3 August 2025, 06:34:09 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group