• হোম > বাংলাদেশ > দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে পদ্মফুলে

দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে পদ্মফুলে

  • সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৫৮
  • ৪১৪

 দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে পদ্মফুলে
প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে পানিতে ভেসে উঠছে পদ্মফুল। আর এই দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে ভিড়ও জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ির পুকুরঘাটসংলগ্ন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামের জলাশয়ে দেখা মিলছে এমন দৃশ্য।

অনিন্দ্য সৌন্দর্যের কারণে জলজ ফুলের রানি বলা হয় পদ্মফুলকে। আগে বর্ষা ও শরৎকালে বিলঝিলের পানিতে ফুটতে দেখা যেত মনোহারি পদ্মফুল। কিন্তু দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক জলজ উদ্ভিদ এখন প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। আগের মতো বিলঝিলের জৌলুসতা এখন নেই। এতে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা, পদ্মফুলসহ আরও অনেক জলজ উদ্ভিদ।

উদ্ভিদবিদের মতে, পদ্মর সুবাস শাপলার চেয়ে তুলনামূলক বেশি। তবে দুটোই দু’ধরনের জাত। ফুল ও পাতাও আলাদা। পদ্মফুল শাপলা ফুল থেকে আকারে বড়। পদ্মফুলে এক জাতীয় ফল হয়। শ্রাবণ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত গ্রামীণ জনপদে শাপলা ও পদ্মর খোঁজ মেলে।

অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বাড়ি দেখার পর পুকুরঘাটে এসে এক মনোরম পরিবেশে মগ্ন হয়ে যান। সেখানে যেন পদ্মফুলের সমাহার। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে তাদের মুঠোফোনে ছবি তুলে রাখছেন। কেউবা আবার সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন।

এখানে ঘুরতে আসা মো. আবুল কাশেম জানান, একই সঙ্গে দুটি সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এখানে। পুকুরঘাটসংলগ্ন জলাশয়ে ফোঁটা শাপলা ও পদ্মফুলগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করার মতোই। গোলাপি বর্ণের এই ফুল যে কারও নজর কাড়বে। স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মুঠোফোনে ছবি তুলেও রেখেছেন তিনি।

মসুয়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল হক জানান, পদ্ম আর শাপলা এক নয়। এদের নাম ও আকার ভিন্ন। শ্রাবণ মাসে শাপলা ও পদ্মফুল ফোটে । জলজ উদ্ভিদ শাপলা ও পদ্ম প্রাকৃতিকভাবে জন্মে থাকে। তবে বিলঝিল, জলাশয়, ডোবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এগুলো এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।

সূত্র: যুগান্তর


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/114405 ,   Print Date & Time: Wednesday, 17 September 2025, 09:04:49 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group