• হোম > আন্তর্জাতিক > তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে পারে চীন

তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে পারে চীন

  • শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৮
  • ৩৮৮

 তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে পারে চীন

নির্দেশ পেলেই তাইওয়ানে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আগ্রাসন চালাতে পারে চীনের সেনাবাহিনী। এ নির্দেশ পালনের জন্য সামরিক নেতাদের যা যা প্রয়োজন তার সবটাই তাদের হাতে আছে অথবা শিগগিরই পেয়ে যাবে। এর ফলে নির্দেশ দিলেই তারা তাইওয়ানে হামলা চালাতে সক্ষম। বুধবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। কংগ্রেসের কাছে এই রিপোর্ট দিয়েছে ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন।

এতে যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে চীনা নেতারা যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, তাহলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কাউকে পাশে না পেলে, একাই তার বিরোধিতা করবে এমন সম্ভবনা কমে এসেছে।

জিম্মি মোল্লা বারাদার, মারা গেছেন আখুন্দজাদা
স্মার্টফোনের স্ক্রিন প্রটেক্টর: বাঁচায়তো না, উল্টো ক্ষতি করে!
Bangladesh এ একটি ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য লোকজন বিশ্বাস করতে পারবে না
ব্যবহৃত গাড়ির দাম | বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান
এরই মধ্যে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আকাশ, নৌপথে ব্লকেড বা অবরোধ, সাইবার হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন করেছে চীনের সেনাবাহিনী। এ জন্য প্রায় দুই দশক ধরে চীনের সেনাবাহিনী পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনা চালিয়েছে। প্রশিক্ষণ দিয়েছে সেনাদের। বাহিনীকে সেভাবে প্রস্তুত করেছে। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে হামলা চালাতে গেলে এসব প্রয়োজন তাদের।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যৌথ অপারেশন এবং ব্যক্তিগত যোগ্যতায় উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা রয়েছে। তারা যদি নিকট ভবিষ্যতে এমন হামলা চালায় তাইওয়ানে, তা হবে এক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এর ফলে বাণিজ্য এবং সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত হতে পারে। এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য কয়েক শত নতুন ‘সাইলো’ নির্মাণ করছে চীন।

তাদের গুণগত এবং পরিমাণগত দিক দিয়ে পারমাণবিক শক্তিতে এই পরিবর্তনে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে একটি বিষয়। তা হলো তারা ঐতিহাসিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের দিক দিয়ে যে সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকার চুক্তিতে আবদ্ধ তা থেকে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে ওই রিপোর্টে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক এন্টিশিপ ক্রুজ এবং বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের বিপুল পরিমাণ মোতায়েনের ও তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে গোয়েন্দা নজরদারির বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সূত্র: আমাদের সময়.কম


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/114956 ,   Print Date & Time: Saturday, 2 August 2025, 09:39:09 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group