• হোম > ক্রিকেট | খেলা > নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফল হওয়ার গল্প শোনালেন জয়

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফল হওয়ার গল্প শোনালেন জয়

  • সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২, ১৬:৫৩
  • ৪২৬

 নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফল হওয়ার গল্প শোনালেন জয়

বয়স মাত্র ২১, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে যতটুক প্রমাণ করার দরকার ছিল, ততটাই করেছেন তিনি। এরপর সহজেই জাতীয় দলে ডাক পান। কিন্তু শুরুটা রঙিন হয়নি, বলা যায় অনেকটাই মলিন হয় তার অভিষেক। তবে অপেক্ষা না বাড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই দলের ভরসার প্রতীক হওয়ার পাশাপাশি নিজেকেও রাঙিয়ে নিলেন তিনি।

এতক্ষণ ধরে বলছিলাম ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের কথা। যিনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজেকে প্রমাণ করে এসেছে। তবে অভিষেক টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন মাত্র ৬ রান। এমন মলিন অভিষেকের পর অনেকেই হয়তো মুখ ফিরিয়ে নিতে চেয়েছেন। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে সময় নেননি তিনি। মাউন্ট ম্যাঙ্গুইনে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে এর পেছনের গল্পটা নিজেই শুনালেন জয়।

ওপেনিং থেকে তার দিকে নজর ফেরালে দেখা যাবে পুরো ইনিংসে সাহসিকতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে কিউই পেসারদের বাউন্সগুলো সাবলীলভাবে ঠেকিয়ে দেন ডান হাতি এই ব্যাটার। শুধু তাই নয়, বল বাই বল কি দারুণভাবে মোকাবিলা করেছিলেন তা রঙ তুলিতে হয়তো এঁকে দেওয়ার মতো। কীভাবে সম্ভব হলো তা নিয়ে জয় বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল রানের দিকে না গিয়ে বেশি বেশি বল খেলার। আমি বেশি বল খেলতে পারলে রান এমনিতেই আসবে। আমার সঙ্গী যারা ছিল, সাদমান ভাই, শান্ত ভাই, মুমিনুল ভাই, সবাই একই কথা বলেছে। এটাই ছিল উইকেটে শান্ত থাকার কারণ।’

মূল ম্যাচের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও নজর কেড়েছিলেন তিনি। সাহসটুকু সেখান থেকেই পাওয়া। জয় বলেন, ‘পরিকল্পনা তেমন কিছু ছিল না। মূল ম্যাচের আগে যে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলেছি, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। সেখানে আমি খেলার সুযোগ পাই এবং মোটামুটি ভালোই করি। সেখান থেকেই আমি আত্মবিশ্বাস পাই যেটা মূল ম্যাচে মোটামুটি পারফর্ম করতে সাহায্য করেছে। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কাছ থেকে দারুণ সমর্থক পেয়েছি। আমি যে নতুন দলে এসেছি সেই চাপটা আমি অনুভব করিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই আমাকে সাহায্য করেছে ‘

‘ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকে আমার আর সাদমান ভাইয়ের পরিকল্পনা ছিল যে নতুন বলটা কীভাবে পুরনো করা যায় আর বল বাই বল খেলব। আমরা যদি বেশি লম্বা চিন্তা করি তাহলে হয়তবা সাকসেস নাও হতে পারে কিন্তু বল বাই বল খেললে ওটাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে। তাই আমাদের পার্টনারশিপটা ভালোই হয়, যখন শান্ত ভাই আসে তার সঙ্গেও আমার পার্টনারশিপটা অনেক ভালোই হয়। শান্ত ভাই আমাকে কিছু কিছু সময় আমি শটস খেলার জন্য বেশি এগ্রেসিভ হই তখন উনি আমাকে কন্ট্রোলে থাকার জন্য বলেন। তারপর মুুমিনুল ভাইয়ের সঙ্গেও আমার পার্টনারশিপ হয়, মুমিনুল ভাইও আমাকে সেইম কথাটাই বলেন। যখন বেশি ডট বল হয় তখন বলেন ডট বলে হলে প্রবলেম নাই কন্টিনিউ করতে থাকো’, যোগ করেন তিনি।

সূত্র: আমাদের সময়.কম


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/115688 ,   Print Date & Time: Wednesday, 18 June 2025, 04:05:12 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group