• হোম > বাংলাদেশ > জিনের সঙ্গে কথা বলে নিঃস্ব মজিবর, হয়েছেন আসামিও!

জিনের সঙ্গে কথা বলে নিঃস্ব মজিবর, হয়েছেন আসামিও!

  • সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২, ০৯:৪৬
  • ৪২৬

 জিনের সঙ্গে কথা বলে নিঃস্ব মজিবর, হয়েছেন আসামিও!

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মন্দিরপাড়া এলাকার মজিবর নামে এক দিনমজুর জিনের বাদশার খপ্পরে পড়ে পরিবারসহ এখন রাস্তায়। স্বর্ণমূর্তির লোভে হারিয়েছেন সারা বছরের উপার্জিত টাকা। হয়েছেন আসামিও। হাজিরা দিতে যেতে হয় ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে। সবশেষে গত সোমবার সিআইডি ইউনিট থেকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে তলব করা হয় মজিবরসহ বাকি তিনজনকে।

জানা যায়, গত বছরের প্রথম দিকে আসমান থেকে অদৃশ্য এক জিন ফোন করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখান দরিদ্র মজিবর ও তার পরিবারকে। এ খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তারা। জিন বাদশার কথা অনুযায়ী লাল কাপড়ে মোড়ানো সোনালি রঙের একটি দেবী মূর্তি পায় মজিবরের পরিবার। তবে লাল কাপড়ে মোড়ানো মূর্তিটা খোলার আগে তিনটি দুম্বা কুরবানি দিতে হবে তাদের। কুরবানি না দিলে এবং এ ব্যাপারে কাউকে বললে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে জানান প্রতারক জিন। তাই মজিবরের সারা বছরের উপার্জিত ২ লাখ ও ঋণ করা ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ভ- জিনের শর্ত পূরণ করে পরিবারটি।

এ শর্ত পূরণ হতে না হতেই ফোন করে জিন আরও বলেন, পরিবারের চার সদস্যের নামে চারটি সিম ক্রয় করে রংপুরের এক নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসতে হবে। অদৃশ্য জিনের আদেশ শোনামাত্রই সিম নিয়ে রংপুরে হাজির মজিবর। এর পর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় আসমানে থাকা জিনের বাদশা। অন্যদিকে মজিবরের কিনে দেওয়া সিম ব্যবহার করে অন্যত্র প্রতারণার কাজ চালিয়ে যায় সেই জিন। পরে সেই সিমের নামে মামলা হলে মজিবর ও তার সন্তানদের হাজিরা দিতে যেতে হয় ঢাকা সিআইডির কার্যালয়ে। ভুক্তভোগী মজিবর রহমান জানান, প্রথমে আমার বড় ছেলের স্ত্রীকে ফোন দেয় এক বৃদ্ধ। নিজেকে আসমানি জিন হিসেবে দাবি করেন তিনি। পরে আমরা পরিবারের বাকি চারজন জড়িয়ে পড়ি। আমাদের সবাইকে শপথ পড়ানো হয় বিষয়টি যেন আমরা কাউকে না বলি।
তিনি আরও বলেন, পরিবার নিয়ে আমি একটি ভাড়া বাসায় থাকি। বাড়ি করার জন্য যে টাকা সঞ্চয় করেছিলাম সে টাকা, আবার ৮৫ হাজার টাকা ঋণ করে সব টাকা আমরা প্রতারকের হাতে তুলে দেই। কিন্তু পরে জানতে পারি আমাকে দেওয়া দেবী মূর্তিটি সোনার নয়, পিতলের ছিল। আমি এখন নিঃস্ব। টাকাও গেল আবার মামলাও খেলাম। সেই মামলার হাজিরা দিতে হয় ঢাকায়।
এ বিষয়ে সিআইডি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সিরাজ উদ্দিন মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার সঙ্গে পরিবারটি জড়িত। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের থেকে পাওয়া তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মজিবরের পরিবারকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/117902 ,   Print Date & Time: Wednesday, 18 June 2025, 04:16:50 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group