• হোম > জাতীয় > নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ট্রাস্টির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ট্রাস্টির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি

  • বুধবার, ২৫ মে ২০২২, ১৫:১৭
  • ৩৬৪

---

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ছয় সদস্যের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

বুধবার (২৫ মে) দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ মে দুদকের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

এর আগে, সোমবার (২৩ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত চার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে একদিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, রবিবার (২২ মে) তাদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ১২ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন ও সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনার পরও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। এরপর নিজেরা ‌ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/118601 ,   Print Date & Time: Tuesday, 17 June 2025, 03:57:21 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group