• হোম > অর্থনীতি > আড়াই শতাংশ প্রণোদনা মিলবে রেমিট্যান্সে

আড়াই শতাংশ প্রণোদনা মিলবে রেমিট্যান্সে

  • বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২, ১৭:০৩
  • ৪১০

---
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের প্রবাসী আয়ে রেকর্ড ৩৬.১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। তবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাসী আয় কিছুটা হ্রাস পেতে শুরু করায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোয় অধিকতর উৎসাহ দিতে আমরা এ খাতে প্রণোদনার হার ০.৫ শতাংশ বাড়িয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২.৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছি।

ইতোপূর্বে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় প্রেরণের ক্ষেত্রে এই প্রণোদনার জন্য প্রেরণকারীর কাগজপত্র বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা ছিল, যা সম্প্রতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পদক্ষেপের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আবারও বাড়তে শুরু করেছে এবং আশা করা যায় যে অতিসত্বর প্রবাস আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা ফিরে আসবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২.৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে আগের বছরের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/119553 ,   Print Date & Time: Monday, 7 July 2025, 02:23:39 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group