• হোম > খেলা > ‘আমরা তো জেতার জন্যই খেলবো’

‘আমরা তো জেতার জন্যই খেলবো’

  • শনিবার, ১৮ জুন ২০২২, ০৯:৩৮
  • ৩৮৮

ফাইল ছবি

ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও বোলিংয়ে দলীয় পারফরম্যান্সের কল্যাণে ১৬২ রানের বেশি লিড নিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে যদিও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করতে পারেনি টপঅর্ডার। নড়বড়ে থেকেই ২০ ওভার ব্যাট করেছে বাংলাদেশ, হারিয়েছে ২ উইকেট।

স্বাগতিকদের চেয়ে এখনো ১১২ রানে পিছিয়ে সাকিব বাহিনী। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। অ্যান্টিগা টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০৩ রান তুলেই অলআউট হওয়া সফরকারীদের ইনিংস হারের শঙ্কাটা উড়ে যায়নি।

প্রথম দুই দিনে বোলাররা দেখিয়েছে দাপট, তুলে নিয়েছে ২২ উইকেট। টেস্ট কয় দিনে শেষ হবে সে প্রশ্ন তোলার সময় চলে এসেছে। বাংলাদেশ যদি দ্বিতীয় ইনিংসে বড় সংগ্রহ না পায় তাহলে তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

তবে টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ ইতিবাচক মানসিকতাই ধারণ করছেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জানালেন, দল ব্যাকফুটে থাকলেও জয়ের আশা তিনি এখনো ছাড়ছেন না।

‘আমরা তো জেতার জন্যই খেলবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে। ব্যাটসম্যানরা যতো বড় স্কোর করবে, যতো বেশি রান দেবে, খেলাটা খেলাটা যাতে পাঁচ দিনে শেষ হয়, এটাই হচ্ছে পরিকল্পনা।’

ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলেও বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছে বলেই ম্যাচের লাগামটা বাংলাদেশের কাছ থেকে পুরোপুরি হাতছাড়া হয়নি। কম রানে প্রতিপক্ষকে অলআউট করার লক্ষ্যটা ছিল, খালেদ সেটা নিজের মুখে বলেছেন। তবে ১০-২০ রান প্রতিপক্ষ বেশি করেছেন বলে তার মত। উইকেটের আচরণ নিয়ে জানালেন, প্রথম দিনের মতো উইকেট দ্বিতীয় দিনে ছিল না।

‘খুবই ভালো উইকেট। বোলারদের জন্য অতটা সহায়ক নয়। ব্যাটসম্যানরা ইনশাল্লাহ ভালো খেলবে। প্রথম দিনে একটু ময়েশ্চার ছিল। দ্বিতীয় দিনে এসে একটু শুকনো হয়েছে। সাকিব ভাই যখন বলেছে উইকেটটা একটু শুকনো হবে। তোদের প্রসেসে থাকিস। আমরা প্রসেসটা বজায় রাখতে চেষ্টা করেছি।’

ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বাধিক রান করা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন । ৯৪ রান করে খালেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক জার্মেইন ব্লেকউড করেন ৬৩ রান। তিনিও খালেদ আহমেদের শিকার। নিজের বোলিং পারফরম্যান্সের উন্নতি নিয়ে ২৯ বর্ষী এই পেসার দিয়েছেন সরল স্বীকারোক্তি।

‘এই ম্যাচে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ গত দুইটা ম্যাচে (শ্রীলঙ্কা সিরিজ) ভালো করতে পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি যদি এই ম্যাচে কিছু সুযোগ পাই।’

‘করোনা শুরু হওয়ার পর ওই সময়টা আমি নিজেকে কাজে লাগিয়েছি। আমি বসে থাকিনি, কঠোর পরিশ্রম করেছি। এমনকি কোচের সাথে কথা বলা, বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় মানুষের সাথে এমকি সুজন (খালেদ মাহমুদ) স্যারের সঙ্গেও আমার অনেক কথা হয়েছে। কী কী করলে ভালো হবে, উনি আমাকে সেই ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছেন। সার্বিকভাবে পেছন থেকে অনেকে সমর্থন দিয়েছে বলেই আমি আজ এখানে এসেছি।’


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/119943 ,   Print Date & Time: Tuesday, 17 June 2025, 11:47:45 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group