• হোম > শিক্ষাঙ্গন | সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব > আমাজনে চাকরি পেলেন খুবির শিক্ষার্থী

আমাজনে চাকরি পেলেন খুবির শিক্ষার্থী

  • শনিবার, ২ জুলাই ২০২২, ১৭:১১
  • ৩১৬৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী আল আমিন হোসাইন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা আমাজনে চাকরি পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী আল আমিন হোসাইন। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন অফিসে আমাজনের ওয়েব সার্ভিস টিমে কাজ করবেন তিনি। নভেম্বরে আমাজনে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এল ৪) হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

শুক্রবার (১ জুলাই) ফোন কলের মাধ্যমে আল আমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আমাজন কর্তৃপক্ষ।

আল আমিন খুবির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডে ‘আগোডা’ এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

চাকরির পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আল আমিন হোসাইন বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে ঢোকার, যেখানে আমার কাজের প্রভাব আরও বড় হবে। আমার ক্যাম্পাস সিনিয়র আশফাক সালেহিন ভাই, যিনি কয়েকমাস পরে ফেসবুকে জয়েন করবেন তিনি আমাকে এমাজনে আবেদন করতে উৎসাহ দেন। আমার তেমন প্রস্তুতি ছিল না। অভিজ্ঞতা নেওয়ার উদ্দেশেই আবেদন করি। সৌভাগ্যবশত প্রথমবারেই অফার পেয়ে গেছি! ১ জুলাই ২০২২ এ আমাজন রিক্রুটার আমাকে ফোন করে নিশ্চিত করেন যে আমার তারা আমাকে কিনতে চান।’

চাকরি পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সাফল্য সব সময় আনন্দের। বিশেষ করে অনেক দিনের আরাধ্য কোনো বিষয়ে সফল হলে সেটা তো কোনো কথাই নেই। আমি এই অফারটা আমার ক্যারিয়ারে একটা দারুণ সূচনা হিসেবে দেখছি। আমি প্রচণ্ড ভাগ্যবান বলতে গেলে, আমার জার্নির প্রত্যেকটা ধাপে অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছি, তাদের সবার প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ।’

আমাজনে ঢুকতে গেলে নতুনদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ডাটা স্ট্রাকচার - এলগরিদম, কম্পিউটার সায়েন্স এর ফান্ডামেন্টালস নিয়ে ভালো দখল থাকতে হবে। সফলতার কোন শর্টকাট নেই, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তবে হতাশ হওয়া যাবে না। আমার ধারণা কোডিং স্কিল সবসময় চক্রবৃধি হারে বাড়ে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ধরে এফোর্ট না দিলে উন্নতিটা বোঝা যায় না। এই সময়টা কষ্ট করে লেগে থাকতে পারলে তারপরের পথচলাটা সহজ হয়ে যায়।’

উল্লেখ্য, আল আমিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ওয়ালটনে ‘কম্পিউটার আর অ্যান্ড ডি’ তে জয়েন করেন। পরবর্তীতে তিনি ওয়ালটন ছেড়ে এক বছর একটা স্টার্ট আপে কাজ করার পর থাইল্যান্ডে ‘আগোডা’ তে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পান এবং ব্যাংকক চলে যান। বর্তমানে তিনি ব্যাংককেই বসবাস করছেন।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/120967 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 09:10:30 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group