• হোম > খেলা > ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

  • রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৪২
  • ৩২৫

 ছবি: সংগৃহীত

ওয়ানডেতে টাইগারদের সামনে পাত্তাই পেল না উইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে সব উইকেট উইকেট হারিয়ে ১৭৮ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিমরা।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬ ও দ্বিতীয়টিতে জয় পেয়েছিল ৯ উইকেটে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।

তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৯ বল খেলে ৮ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করেন তিনি।

দ্বিতীয় সাফল্যটাও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। এবার ১৫ বলে ২ রান করা শাই হোপকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৫ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয়দের বিপদ আরও বাড়ান মোস্তাফিজুর রহমান। দলের একমাত্র পেসার ৮ বলে ৪ রান করা শামারাহ ব্রুকসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

এরপর ক্যারিবীয় ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও এই সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া কেসি কার্টি। স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে দুজন গড়েন ৬৭ রান। বিপত্তিটা বাঁধে ইনিংসের ২৭তম ওভারে। নাসুম আহমেদের বল মিড অন দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কার্টি। কিন্তু বল উঠে যায় উপরে। ক্যাচ ধরেন তামিম ইকবাল। কার্টির ৬৬ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংস শেষ হয় হতাশায়।

এরপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার আলো হয়ে ছিলেন পুরান। তার ব্যাটে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলার পর হাত খুলেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়কও। তবে তাকে বোল্ড করেই নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলআউটের পথে বাধা ছিলেন পুরান। তার বিদায়ের পর তাতে সময় বেশি লাগেনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পুরান। ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল।

১৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধনে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু পুরো সিরিজের মতোই ব্যর্থ হন তিনি। ১৩ বল খেলে ১ রান করেছেন শান্ত। আলজেরি জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাতে।

শান্তর বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু গুদাকেশ মোতির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে আকাশে তুলে মারেন তামিম। ৫২ বলে ৩৪ রান করা ব্যাটারের ক্যাচ নেন আকিল হোসেন। ভেঙে যায় লিটনের সঙ্গে তার ৫০ রানের জুটি।

তামিম আউট হলেও লিটন খেলে যাচ্ছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু এরপর গুদাকেশ মোতি নিজের বলে নিজেই ধরেন দারুণ এক ক্যাচ। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর ধীরগতির এক ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল না খুব একটা। বেশির ভাগ বলেই রান নিতে ব্যর্থ হন রিয়াদ। ৪২.৬২ স্ট্রাইক রেটে ৬৫ বলে ৫০ রান করে নিকোলাস পুরানের বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

এরপর বাকি পথটা পাড় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। ৩৮ বলে ৩২ রানে সোহান ও ৩৫ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। দারুণ এক জয় নিয়ে এক মাসের বেশি সময়ের লম্বা সিরিজের সমাপ্তি টানে বাংলাদেশ।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/121559 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 04:18:05 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group