• হোম > বাংলাদেশ | ময়মনসিংহ > ঘরের সামনেই কবর হলো সেই বাবা-মা ও বোনের

ঘরের সামনেই কবর হলো সেই বাবা-মা ও বোনের

  • রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২, ১৪:৪১
  • ৫৮৫

 ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবা-মাসহ পরিবারের তিনজনকে দাফন করা হয়েছে ময়মনসিংহে ত্রিশালে নিজ বসতঘরের সামনে। নিহতের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বইছে শোকের মাতম।

তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটি জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। তবে শিশুটি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছে। তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।

রোববার (১৭ জুলাই) সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামে সড়ক ‍দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, নিহত জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে শোকের মাতম চলছে তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। বুকফাটা কান্নায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে নিহত জাহাঙ্গীরের মাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। নিহত জাহাঙ্গীর তার সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকসহ রেখে গেছেন ৮ বছর বয়সী ছেলে ও ১০ বছর বয়সী কন্যাসন্তান বলে জানান স্বজনরা।

এ দিকে শনিবার (১৬ জুলাই) সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়ার পর থেকেই নবজাতকটির ঠাঁই হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর লাবীব হাসপাতালে। ভাঙা হাত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে জন্মলগ্নে বাবা মা হারানো নবজাতকটি।

শারীরিকভাবে শঙ্কামুক্ত হলেও স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। পরম মমতায় খাওয়ানো হচ্ছে হাসপাতালটির নার্সদের বুকের দুধ।

কমিউনিটি বেজড হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, ভাঙা হাতটি সেরে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

গত শনিবার (১৬ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় স্বামী- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর গর্ভে থাকা নবজাতক অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।

নিহতরা হলেন- স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রত্না বেগমের পেট ফেটে নবজাতক সন্তানটি বের হয়ে আসে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ট্রাকচাপায় তার পেট ফেটে শিশুসন্তানটি বের হয়ে আসে। তবে শিশুটি এখনো জীবিত আছে। তাকে প্রথমে কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/121633 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 07:26:00 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group