• হোম > খেলা > পাকিস্তানকে হেসে খেলে হারাল ভারত

পাকিস্তানকে হেসে খেলে হারাল ভারত

  • সোমবার, ১ আগস্ট ২০২২, ১১:২৫
  • ৩৯২

 ছবি: সংগৃহীত

হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল। অনবদ্য প্রত্যাবর্তন ভারতের। কমনওয়েলথ গেমসে গ্রুপ এ-তে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হেলায় হারালেন হরমনপ্রীত কৌররা। ভুল পরিকল্পনা, স্নায়ুর চাপ এবং ভারতের দাপুটে পারফরম্যান্সের কাছে নতিস্বীকার পাকিস্তানের। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ভুল-ত্রুটি শুধরে ফিল্ডিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স ভারতের। বোলাররা যে সুযোগ তৈরি করলেন, নষ্ট হল না। পাকিস্তান ইনিংসে তিন উইকেট গেল রান আউটেই। চার দলের গ্রুপ থেকে দুইটি দল সেমিফাইনালে যাবে। ৩৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবলে জায়গা মজবুত করল ভারত।

রবিবার (৩১ জুলাই) টসে জিতে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমা মারুফ। অবাক করার মতোই সিদ্ধান্ত। পাকিস্তান একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। কনকাশনে ছিটকে যাওয়া নিদা দারের জায়গায় কায়নাত ইমতিয়াজ। ভারতীয় একাদশে জোড়া পরিবর্তন দেখা যায়। ব্যাটিং শক্তিশালী করতে হরলীন দেওলের জায়গায় টপ অর্ডার ব্যাটার সাব্বিনেনি মেঘনা। গত ম্যাচে হতাশাজনক পারফর্ম করা বাঁহাতি স্পিনার রাজেশ্বরীর পরিবর্তে অফ স্পিনার স্নেহ রানা। তার ব্যাটের হাতও খুবই ভালো। বারবার বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। ওভার কমিয়ে ১৮ করা হয়।

মেডেন দিয়ে ইনিংস শুরু করেন ভারতের পেসার রেনুকা ঠাকুর। ডট বলের চাপে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তখনও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ। দ্বিতীয় উইকেটে মুনিবা আলির সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমা মারুফ। নবম ওভারে এই দুই সেট ব্যাটারকে ফেরান স্নেহ রানা। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন ভারতীয় বোলাররা। গত ম্যাচে ভারতের ফিল্ডিং হতাশার ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি উইকেট এল রান আউটে। তবে যস্তিকা ভাটিয়া উইকেটের পিছনে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুরো ১৮ ওভার ব্যাট করলেও ৯৯ রানে অলআউট পাকিস্তান। সর্বাধিক রান ওপেনার মুনিবা আলির ৩২। ভারতের হয়ে রাধা যাদব এবং স্নেহ রানা দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়ায় অনবদ্য শুরু করেন স্মৃতি মান্ধানা এবং শেফালি ভার্মা। গত ম্যাচের মতোই আক্রমণাত্মক শুরু স্মৃতির। ২৯ বলে অর্ধশতরানের জুটি। বারবার বোলার বদলেও লাভ হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে (৫ ওভার) বিনা উইকেটে ৫২ ভারতের। স্মৃতির বেশিরভাগ রান এল বাউন্ডারিতেই। ছয় মেরে অর্ধশতরানে পৌঁছান স্মৃতি মান্ধানা। মাত্র ৩১ বলে ৭ টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। একটা সময় মনে হয়েছিল ১০ উইকেটেও ম্যাচ জিততে পারে ভারত। লেগ স্পিনার তুবা হোসেনের বলে কট বিহাইন্ড হন শেফালি (১৬)। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সাব্বিনেনি মেঘনা ১৬ বলে ১৪ রান করে আউট হন। স্মৃতিকে টলানো যায়নি। ৬ মেরে অর্ধশতরানে পৌঁছেছিলেন, ৪ মেরে জয়ের লক্ষ্যও পার করলেন। ৪২ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্মৃতি। ৮ টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি মারেন সহ অধিনায়ক স্মৃতি


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/122752 ,   Print Date & Time: Tuesday, 17 June 2025, 02:33:20 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group