• হোম > খুলনা | বাংলাদেশ > নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু

নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু

  • মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০২২, ১৬:৪৬
  • ৩৫৩

প্রতীকী ছবি

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু। নড়াইলে পরকিয়ার জেরে প্রান গেল যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার ৬নং তুলারামপুর ইউনিয়নের ৯নং বাকসাডাঙ্গা গ্রামে।

জানা যায়,বাকসাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের প্রবাসী ছেলে মোঃ শহর আলীর স্ত্রি মোছাঃ সোনালী খাতুন বিভিন্ন উপায়ে আকৃষ্ট করে একই গ্রামের মোঃ মোতালেফ হোসেনের অবিবাহিত ছেলে মোঃ শামিম হোসেনর সাথে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। স্বামী শহর আলী ছুটিতে বাড়ি এসে ঘটনাটি লোক মুখে জানার পর শামিম কে হত্যার নীলনকশা তৈরি করে বড় ভাই শামছুর রহমানের সাথে।হত্যাকান্ডে নিহত শামিমের মাতা বলেন,গত ২৫ জুলাই ২২ শোমবার রাতে খেয়ে শামিম ঘুমোতে যায়। তার পর রাত আনুমানিক ১: ৩০ মিনিটের সময় শামিমের ঘর থেকে বিপদজনক আওয়াজের শব্দ পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখি শামিম খাটে নাই, মাচাংয়ের তলে পড়ে আছে, সেই রাতেই তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।চারদিন নড়াইল হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার পর শামিম কিছু টা কথা বলেন,তিনি বলেন রাতে সোনালি আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে দুধের সাথে চেতনানাষক ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে সোনালী,শহর, ও শামছুর বোতলে পানি ভরে মধ্যযুগিও কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট করে।শামিমের ভাগ্নে শাহিন ভুইয়া বলেন, পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মামা শামিকে ডেকে নিয়ে মেরে বাগান পরিস্কার করা বিষ গালে ঢেলে দিয়েছে সোনালী, শহর আর শামছুর এবং ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে।

৬ দিন নড়াইল, যশোরে চিকিৎসা নিয়ে অবস্হার অবনতি হলে গত ৩১/৭/২২ তারিখে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত্যুবরন করেন।এ ব্যাপারে প্রতিনিধির কথা হয় ৬নং তুলারামপুর ইউপির সাবেক তিন নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বর শিউলি বেগমের। তিনি বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যা।যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা পুরো নষ্ট একটা পরিবার।তাদের পরিবারে পরকিয়া মাছ ভাত। শহর আলীর পরিবারের সকল মহিলাই খারাপ ও পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত।আমরা উপস্হিত সকলে শামিম হত্যার বিচার চাই। এ দিকে বাকসাডাঙ্গা গ্রামের বর্তমান মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী এ হত্যা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে কিছুই না জানার ভান করে তড়িঘড়ি চেয়ার ছেড়ে বাইরে চলে যান।এ হত্যায় মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী নিরব কেনো? কেনো হত্যার বিচার মিডিয়ার সামনে চাইলো না সেটা নিয়েও জনমনে উঠেছে প্রশ্ন। দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এসআই শিশির বলেন,অভিযোগের পর আমরা অভিযান চালিয়ে শহরের স্ত্রী সোনালি খাতুন কে আটক করেছি।জড়িত অন্য আসামি আটকের প্রক্রিয়া চলছে।পরবর্তী তথ্য পেলে মিডিয়াকে জানানো হবে।

গত ১/৮/২২ তারিখে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কার্যক্রমেরর পর গ্রামে জানাজা শেষে সম্মিলিত চারাবটতলা কবর স্হানে দাফন করা হয়েছে। শামিম হত্যায় শামিমের মা হয়েছেন পুত্র শোকে বাকরুদ্ধ, সবাই চায়ছেন সঠিক বিচার,এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/122900 ,   Print Date & Time: Tuesday, 1 July 2025, 03:26:34 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group