• হোম > জাতীয় > মোমেন-ওয়াং ই বৈঠক: চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

মোমেন-ওয়াং ই বৈঠক: চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

  • রবিবার, ৭ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩১
  • ৩১০

ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ানের ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

চীনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার পরিধি আরও ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অর্থ্যাৎ চীনের বাজারে বাংলাদেশ এখন থেকে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি রপ্তানিনির্ভর। দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও অতিরিক্ত ১ শতাংশে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দেবে। এই অতিরিক্ত ১ শতাংশের মধ্যে আমি মনে করি, বাংলাদেশের বিশেষ করে গার্মেন্টস ও ওভেন প্রোডাক্টসে কিছু লিমিটেশন ছিল। আরও বেশি কিছু প্রোডাক্টে লিমিটেশন ছিল। আমরা বিকেল নাগাদ তালিকাটা হাতে পাব।

তিনি বলেন, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর দূতাবাসে ফিরে গেলে তালিকাটা প্রেসকে দেবে বলেছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের এই এক্সট্রা ১ শতাংশ পণ্য ও সেবায় বাংলাদেশ থেকে চীন ডিউটি ফ্রি প্রবেশের সুযোগ দেবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের কারখানা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা করবেন বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত চালুর বিষয়ে বাংলাদেশকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি জানান, আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। বাণিজ্য বৈষম্য দূর করাটা আলোচনায় একটি বড় ইস্যু ছিল।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি তুলেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে চীনের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। চীন এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে গিয়েছিল। এর চূড়ান্ত সমাধান হওয়া দরকার।

শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। চীন বলেছে, সে দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ দূর করার চেষ্টা করছে। সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে চীন অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/123237 ,   Print Date & Time: Wednesday, 18 June 2025, 12:03:22 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group