• হোম > ট্যুরিজম | বরিশাল > তজুমদ্দিনে টেকশই বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাল্টে গেছে মেঘনা পাড়ের চিত্র

তজুমদ্দিনে টেকশই বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাল্টে গেছে মেঘনা পাড়ের চিত্র

  • মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৯:২৯
  • ১৮১৫

তজুমদ্দিনে টেকশই বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাল্টে গেছে মেঘনা পাড়ের চিত্র

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ মনোরম পরিবেশ, নদীর ঢেউ আর বাহারি ডিজাইনের ব্লকে নির্মিত হয়েছে মেঘনার পাড়। যেন অপরূপ সৌন্দের্যের হাতছানি। নানান রঙ্গে সাজানো ব্লকের উপর বসে মেঘনার বিশাল জলরাশির দিকে দৃষ্টি গেলে আবেশে মন জুড়িয়ে যায়। ঢেউয়ের তোড়ে খেলা করে হরেক রকমের দৃষ্টিনন্দন পাখিরা। শীতল বাতাস এসে ছুঁয়ে যায় কঁচি-কোমল ঘাস। এসব দৃশ্য ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনার পাড়ের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদী ভাঙন রোধে তজুমদ্দিনের প্রায় ৬শ’ কোটি টাকার সিসি ব্লক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কারণে পাল্টে গেছে নদীর পাড়ের সার্বিক চিত্র। নদী বাঁধের কাজে ব্যবহত ব্লককে কাজে লাগিয়ে বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে তজুমদ্দিনের চৌমহনী ঘাট থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা।

সারিবদ্ধভাবে ব্লকের উপর আবার সাদা, লাল ও হলুদ রঙের ৩টি করে ব্লক বসিয়ে সাজানো হয়েছে বাহারি রূপে। নানা সৌন্দর্যের কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকেও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষগুলো তার পরিবার পরিজন নিয়ে বিকাল বেলা বাহারি রঙের ব্লকে বসেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছে।

তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম নয়ন বলেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আগামীর সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তজুমদ্দিনের মেঘনার পাড়ে ভালোবাসার টানে ছুটে যাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে।স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো নদী ভাঙনের ভয়াল থাবা থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে তেমনি ব্লকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ ভ্রমন প্রেমিরা।

তজুমদ্দিন হোসনেআরা চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন বলেন, সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় বদলে গেছে নদীর পাড়ের মানুষের ভাগ্য। যেখানে মানুষের ভিটেমাটি হারনোর ভয় ছিল প্রতিনিয়ত, সেই নদীর পাড় এখন এক অপরূপ প্রাকৃতিক পর্যটন স্পটের পাশাপাশি মানুষের অবকাশ যাপনের উত্তম স্থানে পরিনত হয়েছে।

মেঘনার পাড়ে ঘুরতে আসা তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাদী ও সাধারণ সম্পাদক এম নূরুন্নবী তারা বলেন, মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই প্রকৃতি প্রেমিক। তজুমদ্দিনের মেঘনায় রয়েছে বিশাল জলরাশি। যেখানে যেকোন ভ্রমণ পিপাসুর মনের খোড়াক যোগাতে সক্ষম। ইতোমধ্যে তজুমদ্দিনের বেড়িবাঁধে রঙ-বেরঙের যেসব ব্লক বসানো হয়েছে তাতে এই সৌন্দর্যের মাত্রা অনেকগুন বেড়ে গেছে। পাশাপাশি একটি টেকশই বেড়িবাঁধও নির্মাণ হয়েছে


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/124981 ,   Print Date & Time: Tuesday, 14 October 2025, 03:11:38 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group