• হোম > রংপুর > স্ত্রী-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী

স্ত্রী-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী

  • বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৬
  • ৭৭৯

স্ত্রী-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী

মো. ফরহাদ হোসাইন, নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী ও ৩ বছরের মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী জিয়ারুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার শাশুড়িকে ও এক বছরের অপর এক শিশুকেও কুপিয়ে আহত করেছেন জিয়ারুল। পরে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ি নিমোজ খানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হত্যাকারী জিয়ারুল ইসলাম উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার সুমারু মাসুদের ছেলে। তিনি তার শ্বশুরবাড়ি নিমোজ খানার হরতকী তলায় ৪ বছর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহতরা হলেন- জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম (২৫) ও আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার।

এ ঘটনায় আহত- তার ১ মাস বয়সী শিশু সন্তান ইয়াছিন, শাশুড়ি বিলকিস বেগম ও ‍হত্যাকারী নিজেও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , দুপুরে স্বামী জিয়ারুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রত্না বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম তার আড়াই বছরের কন্যা সন্তান ইয়াছমিনকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন। এ সময় রত্না বেগমের মা বিলকিস বেগমও তার এক মাস বয়সী নাতীকে কোলে নিয়ে বাড়ির বাইরে হরতকি তলার রাস্তায় আসেন।

এ সময় জিয়ারুল বাড়ি থেকে ধারালো ছুড়ি নিয়ে তার শাশুড়ির কোলে থাকা শিশু সন্তানকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন। শাশুড়ি শিশুটিকে আনার জন্য এগিয়ে গেলে জিয়ারুল ছুরি দিয়ে শাশুড়িকে কোপাতে থাকেন জিয়ারুল। এ সময় শাশুড়ির মুখে ও পিঠে ছুরির আঘাত লাগে।

শাশুড়ি দৌড় দিয়ে জমিতে নেমে বাচ্চাটিকে পানির ভেতর থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় জিয়ারুলের হাতে থাকা ধারালো ছুড়ি তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ের পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে একি ছুড়ি দিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।

স্ত্রীকে হত্যার পর জিয়ারুল ছুরিটি তার নিজ পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বিলকিস বেগম, তার নাতি ইয়াছিন ও ঘাতক জিয়ারুলকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর ছুরির আঘাতে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। এসময় আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির করানো হয়েছে।

 


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/125120 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 10:25:08 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group