• হোম > আন্তর্জাতিক > অবশেষে খুলে দেওয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কার লোটাস টাওয়ার

অবশেষে খুলে দেওয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কার লোটাস টাওয়ার

  • বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৪
  • ৪০৯

 শ্রীলঙ্কার লোটাস টাওয়ার

অবশেষে খুলে দেওয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কার লোটাস টাওয়ার। বৃহস্পতিবার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে অবজারভেশন ডেক। শ্রীলংকার মাটিতে চীনা ঋণে নির্মিত সবুজ ও বেগুনি রঙের বিশাল টাওয়ার এটি।

সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত রাজাপাকসে পরিবারের সঙ্গে বেইজিংয়ের যে দহরম-মহরম সম্পর্ক তারই প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী খেতাব পায় শ্রীলঙ্কার ‘সাদা হাতি’ নামে। গত সোমবার টাওয়ারটি খুলে দেওয়ার খবর নতুন করে শিরোনাম হয় বিশ্ব মিডিয়ায়।

‘সাদা হাতি’ শব্দযুগলের পেছনে আলাদা তাত্পর্য আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়ার মতো অঞ্চলগুলোয় সাদা হাতিকে পবিত্রতা এবং আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। একসময় রাজারা পুষতেন এ হাতি। কোনো কারণে রাজার কাছ থেকে সাদা হাতি উপহার পাওয়া ছিল একই সঙ্গে প্রাপ্তি আর বিড়ম্বনা। প্রাপ্তি হলো এ হাতি রাজার সুদৃষ্টির প্রমাণ। আর বিড়ম্বনা হলো এ হাতি পবিত্র হিসেবে গণ্য হওয়ার কারণে পার্থিব কাজে লাগানো যাবে না। উপরন্তু হাতিটির খাওয়া-দাওয়ার জন্য বেড়ে যাবে পারিবারিক খরচ। শ্রীলঙ্কার মতো দেশের জন্য লোটাস টাওয়ার তাই বিশ্ব মিডিয়ার বয়ানে অনেকটাই সেই সাদা হাতি।
লোটাস টাওয়ারের উচ্চতা ৩৫০ মিটার। এশিয়ায় ১১তম এবং বিশ্বে ১৯তম উঁচু টাওয়ার। কলম্বোর যেকোনো প্রান্ত থেকেই দৃশ্যমান। নির্মাণে খরচ হয়েছে আনুমানিক ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের আমলে ২০১২ সালে নির্মাণ শুরু হয় টাওয়ারের। প্রথম থেকেই নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম জড়িয়েছে এ নামের সঙ্গে। মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং তার ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে বেশকিছু বিলাসী প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান অর্থনৈতিক সংকটে সেই ‘সাদা হাতি’ প্রজেক্টগুলোর ভূমিকা কম নয়। গত মে মাসে গণবিদ্রোহে ক্ষমতা হারান মাহিন্দা রাজাপাকসে। জুলাইয়ে গদি ছাড়তে হয় গোতাবায়া রাজাপাকসেকেও।

লোটাস টাওয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির নির্বাহী প্রধান প্রসাদ সমরসিংহে বলেন, ‘আমরা একে বন্ধ রাখতে পারি না। দেখাশোনার খরচই অনেক। সেই অর্থটুকু আমরা আপাতত বের করে আনতে চাই। চাই টাওয়ারকে বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করতে।’

টাওয়ারের সঙ্গে দোকান এবং অফিসগুলো ভাড়া দেয়া হবে। ভাড়া দেয়া হবে অবজারভেশন ডেকের ঠিক নিচেই অবস্থিত ঘূর্ণায়মান রেস্টুরেন্টটি। সেখান থেকে উপভোগ করা যাবে রাজধানী ও ভারত মহাসাগরের সৌন্দর্য।

সূত্র : দ্য স্ট্রেইটস টাইমস


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/126095 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 10:20:30 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group