• হোম > আন্তর্জাতিক > নিষেধাজ্ঞা পরেও ৮৫ দেশে রফতানি হয় ইরানি খেজুর

নিষেধাজ্ঞা পরেও ৮৫ দেশে রফতানি হয় ইরানি খেজুর

  • বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৩৬
  • ২৮৩

 ছবি: সংগৃহীত

ইরানের চেম্বার অব কো-অপারেটিভস- এর এগ্রিকালচারাল কমিটির চেয়ারম্যান আরসালান কাসেমি জানিয়েছেন, ইরান বিশ্বের কমপক্ষে ৮৫টি দেশে খেজুর রফতানি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফলটি রফতানি হচ্ছে। মূলত উন্নত মান বজায় রেখে ইরানে বিভিন্ন জাতের খেজুর উৎপাদন হয় বলে এই মিষ্টি ফলটির রফতানি বেড়ে গেছে।

কাসেমি বলেন, বিশ্বের মধ্যে ইরানে সর্বাধিক জাতের খেজুর উৎপন্ন হয় এবং এটি সম্ভব হয়েছে এদেশের ঋতুর বৈচিত্র্যের কারণে। তিনি বলেন, রফতানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান, সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশে উৎপাদিত ‘মরিয়ম’ খেজুর। এই খেজুরের গাঢ় বাদামী রঙ ও কুঁচকে যাওয়া ত্বকের সাথে এগুলোর বড় আকার, নরম গঠন এবং সমৃদ্ধ স্বাদ বিশ্বব্যাপী মরিয়ম খেজুরকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

তবে ইরানের অভ্যন্তরীণ বাজারে কাবকাব ও মোজাফাতি জাতের খেজুর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বলে জানান ইরানের এই কর্মকর্তা।
বিশ্বের প্রায় একশ দেশে খেজুর রফতানি হলেও ইরানের অভ্যন্তরেই উৎপাদিত বেশিরভাগ খেজুর বিক্রি হয়ে যায় বলেও জানান কাসেমি। তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, গত বছর ইরান তিন লাখ ২০ হাজার টন খেজুর রফতানি করেছে। অথচ একই বছর ইরানের অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ টন খেজুর।

পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইরানের খেজুর সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় বলে জানান আরসালাম কাসেমি। এ ছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাখিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ায় ইরানি খেজুর প্রচুর পরিমাণে রফতানি হয়। পাশাপাশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশসহ বহু দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইরানি খেজুর সংগ্রহ করে। সূত্র : প্রেসটিভি


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/126592 ,   Print Date & Time: Friday, 9 May 2025, 07:25:48 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group