• হোম > আওয়ামীলীগ > বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়: কাদের

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়: কাদের

  • শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫২
  • ৪৪০

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়: কাদের

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কাউকে রাজপথ ইজারা দেয়নি। বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সংযমী হয়ে রাজপথে থাকতে হবে’।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাইবান্ধা শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। দেশের উন্নয়ন, অর্জন চাইলে শেখ হাসিনার মতো সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে সম্মানিত করেছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার বলেন, বিদায়ের সাইরেন নাকি বাজছে। এই সাইরেন ১৪ বছর ধরে ফখরুলের কানে বাজে, জনগণের কানে বাজে না’।

দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘দলে শৃঙ্খলা রাখতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হলে শৃঙ্খলা শিখতে হবে। আমাদের নেতা একজন- শেখ হাসিনা, আর সব কর্মী। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতে পারলে সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হবে, ঐক্যবদ্ধ ও আধুনিক স্মার্ট দল হবে’।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতিসংঘে শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন। আমরা শুনেছি তিনি কীভাবে পিতার মতো বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতিসংঘে ইতিবাচক বস্তুনিষ্ঠ, মানবতাবাদী বক্তৃতা দিয়েছেন। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, শান্তির আহবান জানিয়েছেন। তার বক্তৃতা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে’।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রণধ্বনি জয় বাংলা নির্বাসনে, স্বাধীনতার মূল্যবোধ নির্বাসনে পাঠানো হলো। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে গেলো। তারপর ৬টি বছর আমরা অমানিসার অন্ধকারে ছিলাম। দল কলহ-কোন্দলে জর্জরিত ছিলো। দুঃখিনী বাংলায় পিতার রক্তভেজা মাঠিতে অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন। সুনামগঞ্জ থেকে সন্দরবন ঘুরে ঘুরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। শেখ হাসিনা না দেশে ফিরে না আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার দুঃসাহস কারো হতো? বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যার বিচার কি হতো? শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছিলেন’।

দলের কর্মীদের খোঁজখবর রাখার জন্য দলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পকেট কমিটি করা চলবে না। দুঃসময়ে নিবেদিত কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ’।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য সফুরা বেগম রুমি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।

সম্মেলনে অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এমপি, এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম হিরু।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/126832 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 01:23:24 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group