• হোম > জাতীয় > জাতিসংঘের বাগানে বঙ্গবন্ধুর নামে সেই বেঞ্চ ও গাছ পরিদর্শন শেখ হাসিনার

জাতিসংঘের বাগানে বঙ্গবন্ধুর নামে সেই বেঞ্চ ও গাছ পরিদর্শন শেখ হাসিনার

  • সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৯
  • ৩৯১

 ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাগানে গত বছর একটি ‘হানি লোকাস্ট’ গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে তার বাণীসংবলিত একটি বেঞ্চও উন্মুক্ত করেন তিনি।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের উত্তর লেনের বাগানে লাগানো সেই ‘হানি লোকাস্ট’ গাছটি এবং পাশেই স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর বাণী সম্বলিত বেঞ্চ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পরিদর্শন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের চলতি ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপন প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন সফরসঙ্গীসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে বেশ কিছুক্ষণ নিরবে অবস্থান করেন। সেসময় তিনি জাতিরজনকের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। বেঞ্চটি উৎসর্গ করা হয় বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গাছটি রোপন করেন শেখ হাসিনা নিজে।
জানা যায়, গাছটি ৩০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। এর আয়ুস্কাল ১২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই দীর্ঘ সময়ে বৃক্ষটি শান্তির বার্তা বহন করবে। একইসাথে মানবতার জন্যে নিবেদিতদের নির্মল-পরিবেশে প্রশান্তির ক্ষেত্র বিস্তৃত করবে। জাতিসংঘ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় অর্থাৎ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এর ৮ দিন পরই বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার দরাজ কন্ঠে বাংলায় ভাষণ দেন। এজন্যে সেপ্টেম্বর মাসটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন বাঙালিরা।

গত বছর বৃক্ষটি রোপনের সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কেউ তাদের অবসর সময়ে বেঞ্চে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারে, শুধুমাত্র নিজের সাথেই নয়, সারাবিশ্বের মানুষের সাথেও। জাতির পিতা সর্বদা শান্তি নিশ্চিত করতে এবং দরিদ্র মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে লড়াই করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বের নিপীড়িত, দরিদ্র ও ক্ষুধার্তদের কথাও ভাবতেন।

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি তুলে ধরেন যা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বের নীতি অনুসরণ করে। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের লক্ষ্য ছিল সবার সাথে বন্ধুত্ব লালন করা, কারণ এটি শান্তি নিশ্চিত করবে। তিনি তার সমগ্র জীবন শান্তি বজায় রাখার সংগ্রামে কাটিয়েছেন। শান্তি ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না, আমরা ভালো করেই জানি।

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু মুজিবের সেই নীতি আলোকে এবারও সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। এদিকে, জাতিসংঘ সফর শেষে গত শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/126948 ,   Print Date & Time: Wednesday, 16 July 2025, 02:49:02 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group