• হোম > সাহিত্য | সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব > কুড়িগ্রামে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

  • বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৩
  • ২৪৮৪

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

গভীর শ্রদ্ধায় কুড়িগ্রামে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকল স্তরের মানুষজন।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। কবির শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী নিজের জন্ম শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে সমাধিত করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে শায়িত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এর সমাধিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন পুষ্পস্ত্মবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মির্জা নাসির উদ্দীন, অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, কবি পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।

প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক জানান, আমার বাবার কবরে সমাধি ও কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজটি ঝুলে আছে। আমি চাই দ্রুত এ কাজটি শুরু করা হোক।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও একুশে পদক প্রাপ্ত এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, দেশ বরেণ্য লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধি সৌধ ও কমপ্লেক্সটি নির্মাণ হলে এখানে তার সাহিত্য কর্ম নিয়ে গবেষণা হবে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে তার বই পড়তে পারবে।

বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈত্রিক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে “সব্যসাচী লেখক” বলা হয়।

তিনি ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস “দেয়ালের দেশ”।এছাড়াও তার লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বারো দিনের জীবন, তুমি সেই তরবারী,কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন ও নির্বাসিতা।

তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অপর পুরুষ, অগ্নি ও জলের কবিতা। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ও নুরুলদীনের সারা জীবন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/127064 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 11:05:03 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group