• হোম > জাতীয় | ঢাকা | বাংলাদেশ | বিশেষ নিউজ > অনুমতি ছাড়া সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: সিটিটিসি প্রধান

অনুমতি ছাড়া সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: সিটিটিসি প্রধান

  • শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২০
  • ৩৮৬

ছবি : সংগৃহীত।
জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারপরও সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) মতিঝিলের নটরডেম-আরামবাগ মোড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সিটিটিসি আরও জানান, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স।

এদিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় গতকাল রাত থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শাপলা চত্বরে প্রবেশের সব পথেই সকাল থেকে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। কাউকেই যেতে দিচ্ছে না চত্বরের দিকে। তবে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে আরামবাগ মোড়ে স্থাপন করা ব্যারিকেড তুলে ফেলেন নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ দ্রুতই নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে আবারও ব্যারিকেড বসায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ভোর থেকেই আরামবাগ মোড় হয়ে শাপলা চত্বরে যাওয়ার পথের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এতে কমলাপুর থেকে আসা পল্টনের সমাবেশমুখী মিছিলগুলোর যেতে সমস্যা হচ্ছিল। সকাল থেকেই এই মোড়ে কয়েক বার বসে পড়ার চেষ্টা করেছেন সমাবেশমুখী নেতা-কর্মীরা। পথে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক দফা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় পুলিশের সঙ্গে।

সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে কমলাপুরের দিক থেকে আসা কয়েকটি মিছিলের নেতা-কর্মীরা একযোগে এসব ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলেন। এ সময় পুলিশ শান্ত ও সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে ব্যারিকেড ভাঙার পরে নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয় পড়ে। পরে পুলিশ হুইসেল দিয়ে নেতা-কর্মীদের দিকে আগাতে থাকলে পিছু হটেন নেতা-কর্মীরা। দুই মিনিটের মধ্যে নেতা-কর্মীদের কয়েক শ গজ দূরে সরিয়ে দেয় পুলিশ এবং ব্যারিকেডগুলো আগের স্থানে বসিয়ে দেয়।

মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রাজধানীর আরামবাগ, করিম চেম্বার ভবন, কালভার্ট রোডের মতো শাপলা চত্বরে ঢোকার যত প্রবেশমুখ রয়েছে সবগুলোই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ব্যারিকেড পার হয়ে কাউকেই শাপলা চত্বরের দিকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। দু-একজন ঢুকলেও পড়তে হচ্ছে ব্যাপক পুলিশি জেরায়। সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ।

এরই মধ্যে সন্দেহভাজন দুই জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/131576 ,   Print Date & Time: Monday, 27 October 2025, 05:18:27 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group