• হোম > বিশেষ নিউজ | ব্যবসা বাণিজ্য > সিলেট জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান

সিলেট জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান

  • রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০৬
  • ২৩৭১

ফাইল ছবি।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

অজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে তিনটি গ্যাসস্তরের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছি আমরা। সেখানে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ৪ থেকে ৫ মাস পর পুরো তেলের মজুত জানা যাবে। এখানে মজুত স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, সিলেট-১০নং কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরো একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরো একটি জোন পাওয়া যায় যেখানে গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি জানা যায়, যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুত জানা যাবে। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর সাসটেইন করবে এবং গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সাসটেইন করবে।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/133148 ,   Print Date & Time: Sunday, 6 July 2025, 01:50:41 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group