• হোম > বরিশাল | বাংলাদেশ | বিশেষ নিউজ > ভোলা-৩ আসনে ৪ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভোটের মাঠে অচিন জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী

ভোলা-৩ আসনে ৪ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভোটের মাঠে অচিন জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী

  • বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৫০
  • ৫৫৫

ভোলা-৩ (তজুমদ্দিন-লালমোহন) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

তজুমদ্দিন (ভোলা) সংবাদদাতা ॥

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ১১৭, ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে ৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে আ’লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাধারণ ভোটারদের কাছে পরিচিত কিন্তু জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীদেরকে চিনে না এ আসনের ভোটারসহ সাধারণ মানুষ। এই যখন ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর অবস্থান তখন আগামী ৭ জানুয়ারীর ভোটে তারা কতটুকু সুবিধা আদায় করতে পারবে সেটিই এখন বিবেচ্য বিষয়। তবে সাধারণ ভোটাররা মনে করে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বাংলাদেশ আ’লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (নৌকা) ও আ’লীগের সাবেক সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) জসিম উদ্দিনের (ঈগল) এর মধ্যে। এর বাহিরে অন্য দুইজন প্রার্থী ভোলা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাও. কামাল উদ্দিন (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলমগীরকে (ডাব) সাধারণ ভোটাররা চিনেন না তাই তাদেরকে ভোট দিবেনা বলে জানান।
২০০৮ সালে আসনটিতে আ’লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারেরমত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন। মেজর জসিম উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার দেড় বছরের মাথায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের ৫বছর পূর্ণ না হওয়ায় মেজর হাফিজ সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন পরে সুপ্রিম কোর্ট তার প্রার্থিতা বাতিল করে রুল জারী করলে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আসনটি শূণ্য হয়ে যায়। পরে ২০১০ সালর ২৪ এপ্রিল উপ-নির্বাচনে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহাম্মদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। ২০১৪ দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করায় নুরুন্নবী চৌধূরী শাওনের সাথে প্রার্থী হন জাতীয় পার্টি (এরশাদ) নুরনবী সুমন নামে লালমোহনের একব্যক্তি। সেই নির্বাচনেরও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন নিরঙ্কুশ জয় পায়। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মেজর হাফিজকে পরাজিত করে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাওন। উল্লেখ্য তজুমদ্দিন উপজেলায় জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কমিটি থাকলেও তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি এবং কোন কার্যালয়ও নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির কোন কমিটি নেই কার্যক্রমও নেই এখানে। তাই তাদের কোন কর্মি-সমর্থক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই প্রথম ভোলা-৩ আসনের মানুষ বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির নাম জানতে পেরেছেন বলেও জানান অনেক ভোটার।

জানতে চাইলে তজুমদ্দিনের ভোটার মোঃ আবুল হাসেম, সোহরাব হোসেন, মো. আব্দুর রহীম, মো. রবিউল হক, আরিফুর রহমান, আব্দুর রবসহ অনেকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কখনো মাও. কামাল উদ্দিন ও মো. আলমগীরকে দেখিনি এবং নামও শুনিনি। যেহেতু তাদেরকে চিনিনা তাই তাদেরকে ভোট দিবনা। দুই প্রার্থীর কেন্দ্রে এজেন্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, টাকার বিনিময়ে এজেন্ট দিতে পারলেও সেই এজেন্টরাও তাদের ভোট দিবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। বিএনপি ভোটে না থাকায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মেজর (অব.) জসিম উদ্দিনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে।

তজুমদ্দিন উপজেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আহ্বায়ক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি ৪ বছর তজুমদ্দিন উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এ সময়ের মধ্যে আমাদের প্রার্থী মাও. কামাল উদ্দিন সাহেব তজুমদ্দিনে একবারও আসেননি। তিনি আরো বলেন, আমরা এখনো প্রচার-প্রচারণা শুরু করিনি এবং কেন্দ্র কমিটিও করতে পারিনি। তবে আমাদের প্রার্থী সম্পূর্ণ নতুন হাওয়ায় সাধারণ ভোটারদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তজুমদ্দিনে একটি সভা করবেন বলেও জানান।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/133583 ,   Print Date & Time: Sunday, 21 September 2025, 11:34:40 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group