• হোম > বাংলাদেশ | বিশেষ নিউজ > মর্টারশেল ও গোলাগুলিতে ভূমিকম্পের মতো কাঁপছে টেকনাফ

মর্টারশেল ও গোলাগুলিতে ভূমিকম্পের মতো কাঁপছে টেকনাফ

  • সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৭:২২
  • ২৮৬

---

বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রুর বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তের ঘাঁটিগুলো এখন আরকান আর্মির দখলে। সেখানে আপাতত গোলাগুলি বন্ধ হলেও এবার টেকনাফের সীমান্তের ওপারে চলছে তুমুল লড়াই। মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠছে এপাড়ের ঘরবাড়ি। নিরপাত্তার কারণে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের ভ্রমণে চলাচল বন্ধ রেখেছে বিজিবি।

Google Newsএকুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালেও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, সীমান্তে গোলাগুলিতে নিরাপত্তার কারণে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটি মিয়ানমারের অনেকে ভেতরে। তবে নতুন করে যাতে কেউ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি।

সীমান্তে বসবাসকারীদের সর্তক করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১৬৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোর থেকে সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।

কদিন আগে উত্তেজনার কারণে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ করা হয়েছিল বলে জানান শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের টোল আদায়কারী ছিদ্দিক আহমদ।

তিনি বলেন, নাফ নদীর বুকে জেটি ঘাটে ভ্রমণে প্রতিনিয়ত মানুষের আনাগোনা ছিল। কিন্তু সীমান্তের গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার কারণে এই জেটিতে দুইদিন ধরে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা যারা সীমান্তের বাসিন্দা রয়েছি, ওপারের গোলাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব পরেছে।

হ্নীলার বাসিন্দা মো. সাইফুল বলেন, আমার এলাকায় রাতে অনেক ভারি গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে গোলার শব্দ কমেছে। কিন্তু থেমে থেমে গোলার শব্দ পাচ্ছে সীমান্তের লোকজন। যার ফলে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কমেনি।

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, রাতে বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে আবারও তারা সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বিজিবির সহায়তায় সীমান্তের লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া অযথা সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করেছি।

জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধে রাখাইনের মংডু শহরের বাঘগোনা, হাদিবিল, নলবনিয়া নয়াপাড়া গ্রামে হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালায়। ফলে কয়েক দিন ধরে এসব এলাকার প্রায় চার হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তবর্তী সিকদারপাড়া ও মন্নিপাড়া গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষা


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/135082 ,   Print Date & Time: Monday, 16 June 2025, 08:55:23 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group