মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলী এলাকায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা ১২:৩০ নাগাদ ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন প্যারালাল লেনে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে পেছন থেকে বাসের ধাক্কায় আহত পড়ে নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুস সামাদ ফকির, তাঁর ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ফকির, অ্যাম্বুলেন্স চালক, ও এক অর্ধনামজানা ব্যক্তি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের মিঠাপুকুর গ্রামের আব্দুস সামাদের পরিবার ঢাকায় অন্তঃসত্ত্বা বিল্লাহ ফকিরের স্ত্রীর প্রসূতি পরিচর্যার জন্য যাচ্ছিল। গত রাতে ব্যথা শুরু হওয়ায় সকালে ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে ১০ জন মিলে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছিলেন। নিমতলী এলাকায় চাকা ফেটে গেলে চালক ও অন্যান্য সদস্যরা রাস্তার ধারে সেটি মেরামত করছিলেন; কেউ কেউ অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে অপেক্ষা করছিলেন।
ইতোমধ্যে দ্রুত গতির একটি “গোল্ডেন লাইন” পরিবহনের দূরপাল্লার বাস—যার হেলপার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানিয়েছেন, বাসটি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা অভিমুখে আসছিল—চাকা ফেটে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে নিহত হন পাঁচ জন। বাস চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক চেষ্টা করতে সক্ষম হননি।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, “বাস ও অ্যাম্বুলেন্স দুটোই জব্দ করা হয়েছে। প্রথমে একজন ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন, অন্য আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে মরদেহ ছক থাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তদন্ত করে দেখছি।”
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।