মোঃ শরীফুল ইসলাম, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গরম ও মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪-৬ ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের এ অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ গ্রাহকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে দিচ্ছেন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। যেকোন সময় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরা করারও হুমকি দিচ্ছে।
বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরম, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক দিনের কম সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। আর ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেই বিদ্যুৎ হঠাৎ গায়েব। বিদ্যুৎতের দেখা নেই কয়েক ঘন্টা। মাঝেমধ্যে একদিনও বিদ্যুৎ আসে না। তবে বিদ্যুৎতের ভেলকি বাজীতে বিল হচ্ছে অতিরিক্ত বা দ্বিগুন এমন অভিযোগ করছে গ্রাহকরা।
এদিকে, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে বাসা বাড়ির ফ্রিজ, এয়ারকুলার, কম্পিউটার, পানির তোলার মটর, ব্যবসায়ীদের ফটোস্ট্যাট মেশিনসহ বিভিন্ন নামী দামি জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলা জুড়ে ইন্টারনেটের সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ ঠিকমতো পাওয়া না গেলেও বিদ্যুতের বিল কিন্তু কমছে না।
হাজির হাট হামেদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা হাছান মাহমুদ বলেন এই মাসের বিলের চেয়ে গতমাসের বিদ্যুৎ বিল অনেক কম ছিলো কিন্তু এই মাসে বিল বেশি বিদ্যুৎ ছিলো আগের চেয়েও অনেক কম, বিদ্যুৎ কম থাকবে বিলও তো কম হবে কিন্তু বিদ্যুৎ কম বিল বেশি কেন?
দশম শ্রেণীর ছাত্র মো: রাজিব জানান, কিছু দিন পর পরীক্ষা ষ এ সময় পড়াশোনায় একটু বেশি সময় দিতে হয় সন্ধ্যার পর মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ার টেবিলে বসি কিন্তু অতিরিক্ত গরমে বসে থাকতে পারি না এসময় পড়াশোনার অনেক ব্যাঘাত ঘটছে, গরমে রাতেও ঘুমাতে পারি না।
তবে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ অর্ধেকও বরাদ্দ পাচ্ছেন না বলে বেশি পরিমাণ লোডশেডিংয় হচ্ছে বলে জানান কমলনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম নীতিষ সাহা।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহকের প্রতিদিন চাহিদা ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থাকলেও চাহিদা দিচ্ছে মাত্র ৪মেগাওয়াট। আনুপাতিক হারে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। বরাদ্দ বাড়াতে পারলে লোডশেডিংয় কম হইত।