• হোম > আন্তর্জাতিক | বিশেষ নিউজ > ভারতে করোনা আক্রান্ত ৩,৩৯৫, বাংলাদেশসহ দ. এশিয়ায় কী অবস্থা

ভারতে করোনা আক্রান্ত ৩,৩৯৫, বাংলাদেশসহ দ. এশিয়ায় কী অবস্থা

  • রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১২:০৯
  • ৬৬

---

ভারতে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত ভারতজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৫। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কেরালায় (১ হাজার ৩৩৬ জন), এরপর মহারাষ্ট্র ও নয়াদিল্লিতে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে— দিল্লি, কেরালা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশে। একই সময়ে এক হাজার ৪৩৫ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু, যার মধ্যে দিল্লির ৬০ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। মহারাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণ ৬৮ জন নতুন রোগী, যার মধ্যে মুম্বাইতে ৩০ জন, পুনেতে ১৫ জন। সাম্প্রতিক সংক্রমণ ঢেউয়ে দিল্লির প্রথম মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। এদিকে, স্কুল খোলার আগেই সতর্কতামূলক নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটকে সরকার। বেঙ্গালুরুতে ক্যান্সার ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ৬৩ বছর বয়সী ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে। খবর লাইভমিন্টের।

সাধারণ সতর্কতায় বলা হয়েছে বেশিরভাগ সংক্রমণ হালকা ধরনের এবং রোগীরা হোম আইসোলেশনে সুস্থ হয়ে উঠছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে কী পরিস্থিতি: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চলতি বছরের মে মাসে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেয়া হলো।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬০ যা মধ্যে ৪৪৩ জনই রাজধানী ঢাকায়। নেপালে চলতি বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত মাত্র ৭টি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি কেস কাভ্রেপালাঞ্চক জেলায় এবং আক্রান্তের মাত্র একজনকে কাঠমান্ডুতে শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংক্রমণের হার এতটাই কম যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনাও পাওয়া যাচ্ছে না।

শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার স্থিতিশীল রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নতুন কোনো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি এবং সংক্রমণের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি । তবে, বর্ষাকালের কারণে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

পাকিস্তানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে পজিটিভিটি রেট ১৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি । মে মাসের শুরুতে এই হার কিছুটা কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে, তবে এটি এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে করাচিতে সংক্রমণের হার বেশি, এবং হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।


This page has been printed from Daily Jubokantho - https://www.jubokantho.com/136494 ,   Print Date & Time: Wednesday, 4 June 2025, 12:47:08 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 SAASCO Group