ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন যদি জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন,“আমার অধীনস্থ সব থানার এসপি ও ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম যেন এলাকায় চলতে না পারে।”
রোববার সকালে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিআইজি জানান, রেঞ্জের আওতাধীন ১৩ জেলার ৯৮টি থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, “ঢাকা রেঞ্জে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এমনকি ‘টক টু ডিআইজি’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হবে, যাতে মানুষ ঘরে বসেই পুলিশের সেবা নিতে পারে।”
পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ঘুষ বা অবৈধ বদলির মতো অন্যায় কার্যকলাপে সম্পৃক্ত কেউ থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। আগের সরকারের সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যদের উল্লেখ করে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
প্রতিটি অভিযোগ ও মামলার সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করতে একটি দক্ষ মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ৯৮টি থানায় স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি-সমৃদ্ধ মনিটরিং সেন্টার। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে পুলিশ সরাসরি জনগণের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলাগুলোর ওপর নিবিড় নজরদারি চালানোর জন্য একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা হবে বলেও জানান ডিআইজি। দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন কঠোর বার্তাও দেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি থানা যেন মানুষের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হয়। এই উদ্দেশ্য সফল করতে জনগণের পাশে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
