বিশ্ববাজারে ওষুধের চাহিদা পূরণে এবং দেশীয় অর্থনীতিকে সচল রাখতে বলিষ্ঠ অবদান রাখছে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প। দেশের অভ্যন্তরে গড়ে উঠা ছোট-বড় ২৫০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণ দশ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে- যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। উৎপাদিত ওষুধ দেশের ৯৭ভাগ চাহিদা পূরণ করার পরও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ২০২১ সালের এক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম। ওষুধ শিল্পে সরকারি প্রণোদনা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।
দেশীয় ক্রমবর্ধনশীল ওষুধশিল্পকে সচল রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারুণ্যের পছন্দের তালিকায় শীর্ষেই থাকে ফার্মেসি। বিগত দশকে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ৭০-৮০ শতাংশই বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আগ্রহী এবং মেধাবীদের একটা বড় অংশ উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে উন্নত দেশে পাড়ি জমায় । দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে উদাসীনতা পরিলক্ষিত। ওষুধের গুণগত মান যাচাই, সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ, সেবন বিষয়ক নির্দেশনা ও পর্যালোচনা- এসবকিছু শুধুমাত্র হসপিটাল ফার্মেসি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সম্ভব। অনতিবিলম্বে হসপিটাল ফার্মেসীর বাস্তবায়ন একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে ততঃপর, অপরদিকে হাজারো ফার্মেসি গ্রাজুয়েটের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সক্ষম।
লেখক : জেসিয়া জেরিন বন্যা
শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।