প্রহলাদ মন্ডল সৈকত :
পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় গ্রামের পিতা মো. রুহুল আমীনের ছেলে পুলিশ সদস্য মো: ইমরান প্রধান সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশ সদস্য ইমরান প্রধান বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত রয়েছেন। ভূক্তভোগীদের টাকার চাপে সে বেশীরভাগ সময়ে ছুটি নিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুশান্ত সরকার ঢাকার পল্লবী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ইমরান প্রধান বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনির দেহরক্ষী ছিলেন। সেই সুবাধে পুলিশ সদস্য ইমরান প্রধান ভুক্তভোগী সুশান্ত সরকারকে একটি ভালো সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়ে বিনিময়ে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকরি না হওয়ায় ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে ইমরান প্রধান নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন এবং দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত দেননি। বর্তমানে সে কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে এ প্রতিবেদক পুলিশ সদস্য ইমরান প্রধানের সঙ্গে কথা বললে সে চাকুরি দেয়ার নাম করে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং সর্বশেষ গত ২২জুন সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। এভাবে সে তারিখের পর তারিখ দিয়ে ভূক্তভোগীকে হয়রানী করে আসছেন।কিন্তু তারিখের পর তারিখ পেরিয়ে গেলে সে টাকা ফেরত দিতে টাল বাহনা শুরু করেন। ইমরান প্রধান ডা. দিপু মনির দেহরক্ষী থাকার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে চাকুরির লোভ দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, পুলিশ সদস্য ইমরান প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
