সাদিয়া আফরিন অমিন্তা, ইবি, প্রতিনিধি :
বৈচিত্র্যময় এবং খোলামেলা পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরের বিভিন্ন স্থানে মাথা উঁচু করে নিজ অবস্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন টং দোকানগুলো। চায়ের সাথে স্বল্প কিছু খাদ্য সামগ্রী এবং বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চের সংমিশ্রণে এসব দোকানের কাঠামো তৈরি।
শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়া, চলতি পথে খানিকটা বিশ্রাম নেবার অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিত এই দোকান। কেউ নিজের অক্লান্তি দূর করতে বা সকালের হালকা নাস্তা করতেও এসব চায়ের দোকানে ভিড় জমায়। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের অবসর সময়েও গানের আসরে মেতে উঠতে দেখা যায় টংগুলো।
টংগুলো কেবল গানের আসর নয় পাশাপাশি দেশ বিদেশ, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও করতে শোনা যায় কারো কারো মুখে।
শিক্ষার্থী ব্যতিত শিক্ষক, অফিস সহকারী, ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে এসব স্থানে।
অনেক সময় যুবক যুবতীদের প্রেম নিবেদন দৃশ্যও দেখা মিলে যায় এসব দোকানে। এক হাতে ফুল তো অন্য হাতে চায়ের কাপ, গভীর মগ্নে প্রেমিকযুগল জীবন নিয়ে আলোচনা করে। হাসিঠাট্টায় মাতে অনবরত। রাগ অভিমানের পর্বও যুক্ত হয় মাঝে মাঝে।
শীতকালে টংগুলো সাজে নতুন এক রূপে। ভোর থেকেই কেটলিতে থাকে ফুটন্ত পানি, উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ এসে আগুন পুহিয়ে নেয় ক্ষানিকসময়। বেশ কিছু শিক্ষার্থীর মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণও বলা যায় এসব টংগুলিকে।