প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে মোঃ নাবীব আফতাব সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যোগদানের পর থেকে জমি রেজিষ্ট্রেশনের কাজে গতি ফিরেছে। এতে করে সেবা গ্রহীতাদের সেবার মান যেমন বেড়েছে তেমনি ভোগান্তি কমেছে কয়েকগুন। পাশাপাশি সেবা দানের ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন ঘটেছে বলেও জানা গেছে। এর ফলে জমির রেজিষ্ট্রেশন শেষে ক্রেতা, বিক্রেতা ও স্বাক্ষিগণ বাড়ী ফিরছেন হাসি মুখে। প্রতি সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলেছে রাজারহাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে। সেবা গ্রহীতাদের সুবিধার জন্য অফিসের বাহিরে রয়েছে সিটিজেন চার্টার ও সনদ প্রাপ্ত দলিল লেখকদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংবলিত তালিকা। এছাড়াও সেবা গ্রহীতাগণ প্রয়োজনে যে কোন পরামর্শ নিচ্ছেন সাব-রেজিস্ট্রার এর কাছ থেকে। সাধারন মানুষের কাংখিত সেবা নিশ্চিত ও কেউ প্রতারনার স্বীকার না হয় সে বিষয়ে তৎপর দলিল লেখক ও নকল নবিশ সবাই।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯/১২/১৯৮৬ খ্রিঃ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ১ শত ১১ টি মৌজা নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়ের যাত্রা শুরু। বিগত বছর গুলোতে এই অফিসটি গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছে। প্রতি বৎসর এই অফিসে গড়ে ৪ হাজার ৫ শত থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত জমির দলিল রেজিষ্ট্রেশন হয়ে থাকে। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ভান্ডারে যোগান দেয় এই অফিসটি থেকে।
সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস সুত্রে জানা যায়, মোঃ নাবীব আফতাব গত ১২সেপ্টেম্বর/২০২৪ খ্রিঃ কর্মকর্তা (অতিঃ দাঃ) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে প্রতি সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে অফিস করা ও অফিসের ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় জমি রেজিষ্ট্রেশনের (দলিল) সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি জনসাধারনের ভোগান্তিও কমে গেছে। স্থানিয়রা জানন কয়েক মাস পূর্বেও জমির দলিল করতে আসা লোকজনকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে দেখা যেত এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না।
সেবা গ্রহীতা বোতলার পাড় গ্রামের পলি বেগম বলেন,জমির দলিল করতে এসে কোন ভোগান্তি হয় নাই,সাব-রেজিস্ট্রার স্যার খুব আন্তরিক ভাবে আমাদের দলিল করে দিলেন। মেকুরটারী গ্রামের সাজেদুল ইসলাম (স্থানিয় তিস্তা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক) বলেন গত ৫ মার্চ (বুধবার) আমার ভাইয়ের জমি রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য রাজারহাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যাই কোন ধরনের ঝামেলা ও ভোগান্তি ছাড়াই দলিল করে আসলাম খুব ভালো লেগেছে।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, নাবীব আফতাব স্যার যোগদান করার পর থেকে অফিসে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সকাল ১০টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করার ফলে সকাল থেকেই জমি রেজিষ্ট্রেশন (দলিল করা) শুরু হয়। জমি ক্রেতা বিক্রেতাগণ দলিল করার পরে বাড়ীতে গিয়ে অন্য কাজ করতে পারে।
রাজারহাট সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাবীব আফতাব জানান, সেবা গ্রহীতাগনের কাংখিত সেবার মান বৃদ্ধি এবং জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাগন অফিসে এসে প্রতারনা বা হয়রানির স্বীকার না হন সেজন্য সিটিজেন চার্টার ও সনদ প্রাপ্ত দলিল লেখকদের ছবি সহ তালিকা দেওয়া আছে। তার পরেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কেউ পরামর্শ চাইলে অফিস থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান বলেন, সাবরেজিষ্ট্রার সাহেব সঠিক সময়ে নিয়মিত অফিস আসায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল সম্পন্ন করতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হিসসিমে পড়তে হচ্ছে না।
