গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে নজর কাড়ছে নানা জাতের পেঁয়াজ ক্ষেত। গাঢ় সবুজে নজর কাড়ছে পেঁয়াজের গাছগুলো। এ গাছের নিচেই লুকিয়ে রয়েছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। জেলার মানুষের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে এ পেঁয়াজ। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার তারাপুর, বেলকা হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ২০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ীরা বলেন পেঁয়াজের অতিরিক্ত দাম ও সঙ্কটের কারণে ক্রেতাদের ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় বাজারে এসেছে চরাঞ্চলের ছিটা পেঁয়াজ, যা স্থানীদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে। উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়ার কৃষক আনসার আলী বলেন ৩ বিঘা জমিতে ছিটা পেঁয়াজ চাষ করেছি। এত দাম পাবেন কল্পনাও করেননি। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ছিটা বা পাতা পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিস্তার চরের এ পেঁয়াজ গাইবান্ধার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন তিস্তার চরাঞ্চলে চাষ হওয়া বিভিন্ন ফসলের মধ্যে ছিটা বা পাতা পেঁয়াজ দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চরের মাটি এ পেঁয়াজ চাষের উপযোগী হওয়ায় ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা ছিটা পেঁয়াজ চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন চলতি রবি মৌসুমে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষামাত্রা নেয়া হয়। যা ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর অর্জিত হয়েছে। এটি লক্ষামাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। পেঁয়াজ চাষিদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেয়াসহ মাঠপর্যায়ে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে অথবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে লাইক দিন।
