ইউরোপে জ্বালানি-সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিরপেক্ষ আচরণ করা এরদোয়ান ইউরোপে জ্বালানি-সংকটের জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেন।
আজ মঙ্গলবার এরদোয়ান বলেন, ‘পুতিনের প্রতি ইউরোপের আচরণ, তাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা পুতিনকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এটা বলতে বাধ্য করেছে যে তোমরা যদি এটা করো, তবে আমি ওইটা করব। পুতিন তার সবকিছু ও অস্ত্র ব্যবহার করছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাকৃতিক গ্যাসও তার একটি।’
এদিকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে না নিলে ইউরোপে গ্যাস দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, নর্ড স্ট্রিম-১ নামের পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই পাইপলাইনে তিন দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল রাশিয়া। মস্কো এখন পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে বলছে, এসব দেশের জন্যই ইউরোপে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করছে তারা। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘অবশ্যই’।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ কারণে পাইপলাইনে সমস্যা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইন মেরামত করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই, যা এই সরবরাহ সমস্যার কারণ হতে পারে।
এদিকে গ্যাস সরবরাহের অন্যতম প্রধান পাইপলাইন (নর্ড স্ট্রিম-১) অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ঘোষণায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে আসন্ন শীতে গ্যাস সংকট ও রেশনিং- এর ভীতিকে উস্কে দিয়েছে। এর জেরে সোমবার মহাদেশটির বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে রকেট গতিতে ( অন্তত ৩০ শতাংশ)। ইউরোপের বাজারে প্রতি মেগাওয়াটঘণ্টা গ্যাসের মূল্যসূচক চড়েছে প্রায় ২৭২ ইউরোর মতো। সূত্র : রয়টার্স
