মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ, ডাসার (কালকিনি) প্রতিনিধি :
মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল মার্কার সমর্থক এসকেন্দার খান(৬৮) কে নৌকার মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা হাতুড়ি পেটা ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আজ শনিবার ভোরে রায়পুর ভাটবালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার মিছিলে নৌকা মার্কার প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান গোলাপ এর সমর্থকরা বোমা হামলার ঘটনায় ঈগলের সমর্থক ও পথচারী সহ ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বোমা হামলার ঘটনার জের কাটতে না কাটতে আজ শনিবার ভোরে ঈগল মার্কার সমর্থক লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আলী খান ছেলে মোঃ এসকেন্দার আলী খান’কে ফজর নামাজ পড়ে সূর্যমনি বাজারে যাওয়ার পথে নৌকা মার্কার সমর্থকরা হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কর্তন করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১১ঃ৪৫ মিনিটে মারা যান। মৃত্যুর খবরে মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতেছে।
মৃত্যু এসকেন্দার আলী খান এর ছেলে মিলন খান বলেন, আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল মার্কার সমর্থক ছিল।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর তাহমিনা সিদ্দিকীর নির্বাচনী পরিচালনা পর্সদের সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈগল মার্কার শান্তিপুর্ন মিছিলে বোমা হামলা করে ১০ জনকে আহত করেন নৌকার সমর্থকরা। ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠিন ব্যবস্তা নিলে আজ পুনরায় ঈগলের সমর্থক এসকেন্দার খানকে এভাবে নির্মম কুপিয়ে হত্যা মতো ঘটনা ঘটতো না।
এ সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান গোলাপ এর মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালকিনি থানার ওসি(তদন্ত) মারগুর তৌহিদ বলেন, খবর পেয়েছি, বরিশাল হাসপাতালে বসে মারা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করেনি,অভিযোগ দিলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।