রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আরশাদুর রউফ।
গত সপ্তাহের বুধবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন প্রথমে স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে জামিন স্থগিতের আবেদন পুনরায় শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করা হয়। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছিলেন, চেম্বার বিচারপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি আসামির আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন। তারপর আদেশ দেবেন।
এদিকে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় সোমবার (৫ মে) চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার শুনানিকালে চিন্ময় দাসকে জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে পুলিশের কাজে বাধা-ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা আরও চারটি মামলায় মঙ্গলবার (৬ মে) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত বছরের ২৬ নভেম্বর কারাগারে নেওয়া হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
