ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার বেন স্টোকস। সোমবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলবেন ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
২০১১ সালের আগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হওয়া স্টোকস ১১ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১০৪টি ম্যাচ। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন স্টোকস। ফাইনালে স্টোকসের অপরাজিত ৮৪ রানের জন্য ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর এক ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বেন স্টোকস তিনটি সেঞ্চুরিসহ ২ হাজার ৯১৯ রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ৭৪টি। গত মৌসুমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলকে। এই সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে ইংল্যান্ড।
অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেন স্টোকস বলেছেন, ‘আমি মঙ্গলবার ডারহামে ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে আমার শেষ ম্যাচটি খেলব। আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলার প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি।’
সম্প্রতি ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিন ওয়ানডেতে ৪৮ রান করেছিলেন, মিতে পারেননি কোনো উইকেট। স্টোকসকে হয়তো সাম্প্রতিক পারফর্ম চিন্তিত করেছে।
স্টোকস বলন, ‘সিদ্ধান্ত যতটা কঠিন ছিল, এটা ততটা কঠিন নয় যে আমি আমার সতীর্থদের এই ফরম্যাটে নিজের শতভাগ দিতে পারব না। ইংল্যান্ডের জার্সি যে কেউ পরবে তার থেকে কম কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘তিনটি ফরম্যাট এখন আমার জন্য কঠিন। আমি খেলতে চাইলেও ব্যস্ত সূচিতে আমার শরীর সায় দিচ্ছিল না। আমি মনে করছি যে আমি অন্য একজন খেলোয়াড়কে জায়গা করে দিচ্ছি যা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। ক্রিকেটার হিসেবে গত ১১ বছরে অনেক স্মৃতি জমা হয়েছে, যা সত্যিই দুর্দান্ত।’
ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও টেস্ট ক্রিকেটকে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্টোকস।
‘আমি টেস্ট ক্রিকেটে আমার যা কিছু আছে সবই দেব, এবং এখন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমি মনে করি আমি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও আমার শতভাগ দিতে পারব।’
দলের সাফল্য কামনা করে স্টোকস বলেন, ‘আমি জস বাটলার, ম্যাথু মটসহ বাকি খেলোয়াড় এবং সহযোগী স্টাফদের সামনের প্রতিটি সাফল্য কামনা করতে চাই। আমরা গত সাত বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ উন্নতি করেছি এবং ভবিষ্যতও উজ্জ্বল দেখছি।’
![](https://www.jubokantho.com/cloud/archives/fileman/jk-ppe-ad.jpg)