কালকিনি(মাদারীপুর)প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের প্রদীপ বিশ্বাসের স্ত্রী সাথী মল্লিক ওরফে সাথী বিশ্বাস(১৯) কে দীর্ঘদিন ধরে সৎ বাবা ও ভাইর দ্বারা যৌন নির্যাতনে শিকার! বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি গিয়েও শান্তি নাই মিথ্যা মামলায় হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার পিড়ারবাড়ী গ্রামে সাথীর আশ্রিত পিতা শুকলাল মল্লিকের বাড়িতে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলা নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের প্রদীপ বিশ্বাসের স্ত্রী সাথী মল্লিক ওরফে সাথী বিশ্বাসের জন্ম দাতা পিতা সুনিল মন্ডল বিগত ১৪/১৫ বছর পূর্বে মারা যায়। পরে মাতা আরতি বাড়ৈ তার কন্যা সন্তান সাথী মন্ডলকে নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার পিরারবাড়ি গ্রামের সুকলাল মল্লিকের সাথে বিয়ে বসে।
সাথী মল্লিক ওরফে সাথী বিশ্বাসের বয়স যখন ১৫ থেকে ১৬ বছর তখন থেকে সৎ বাবা সুখলাল মল্লিকও সৎ ভাই সুব্রত মল্লিক প্রতিনিয়ত জোর করে যৌন নির্যাতন করতো বলে জানাযায়।
নিজের গর্বধারিনী মাতাকেও বলে কোন বিচার পায়নি ভুক্তভোগী। নরপশুর হাত থেকে নিজেকে বাচাতে না পারায়,আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল সাথী। এমনকি ৩ মাসের অর্ন্তসত্তাও হলে গোপনে সেই গর্বের বাচ্চা নষ্ট করে সাথীর।
এক পর্যায় নিজেকে বাচাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলা নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের প্রদীপ বিশ্বাসের সাথে গত ৫/৬ মাস পূর্বে বিয়ে হয় সাথীর।
বিয়ের পরও শান্তি নেই,সৎ বাবা সুকলাল মল্লিক সাথীর মাতা আরতি বাড়ৈকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আসছে বলে জানায় ভুক্তভোগী।
প্রথমে মাদারীপুর আদালতে মামলা দিলে মিথ্যা প্রমানিত হয়। এখন আবার গোপালগঞ্জ আদালতে আর একটি মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী সাথী মল্লিক ওরফে সাথী বিশ্বাস বলেন, আমি একটু শান্তিতে বাঁচতে চাই। আমার সৎ বাবা ও সৎ ভাই আমাকে জোর করে প্রতিরাতে যৌন নির্যাতন করতো। অনেক বার মাকে বলেছি কোন প্রতিকার পাইনি। কারন আমার মা সহজসরল। উল্টো আমাকেই মারধর করতো। ঘরের ভিতর শিকল দিয়ে তালা দিয়েও রাখতো। এখন আমার বিয়ে হয়েছে, এখানে এসেও শান্তি নাই। আমার সৎ বাবা,আমার মাকে দিয়ে আমার স্বামী সহ পরিবারের সবাই নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
আমি সরকারে কাছে ন্যায় বিচার চাই।
অভিযুক্ত সুকলাল মল্লিকা বলেন,আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, একজন পিতা হয়ে এসব কাজ করা অন্যয়।
সাথীর মা আরতী বাড়ৈ বলেন,আমি আমার জীবন থাকতে সাথীকে তার স্বামীর ঘর করতে দেব না, দরকার হলে সাথী সহ তার স্বামীর বাড়ির সবাইকে জেল খাটাবো।
সাথীর স্বামী প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ আচরণ করে তার পালিত বাবা। এখন আমি সহ আমার পরিবারের সকলকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।