কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কনস্টেবল, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ এখনো ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীর রেলওয়ের ২ সেতুর সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫)। এছাড়া আরাদ্দা, বেলাল, আনিকা আক্তার ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।
জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও নৌ-থানা পুলিশ নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে। তবে রাত গভীর হওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রয়েছে। শনিবার ডুবুরি দল এনে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে।
নিখোঁজ কনস্টেবল সোহেল রানার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তার ভাই লিমন হোসাইন জানান, এ দুর্ঘটনায় স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ আমার ভাই নিখোঁজ রয়েছেন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, ট্রলারে থাকা ২০ জন ডুবে যান। এদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। নৌপুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।