খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। শুক্রবার (২ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির এর ওপর সাবেক এক শিক্ষার্থীর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলা চালায় বাংলা বিভাগ ১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নোমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন এবং শারীরিকভাবে আঘাত করেন।
আহত শিক্ষককে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার পরপরই রাত সাড়ে ১২টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নোমানকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
রাত ১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে এসে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন—“একজন শিক্ষক লাঞ্ছিত মানে গোটা শিক্ষক সমাজকে অপমান করা। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চিত করবে।”
উপাচার্য আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকবে।
ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
