ভারতের সামরিক বিধ্বংসী হামলায় পাকিস্তানের পক্ষ দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, “ভারত ছয়টি এলাকায় ২৪টি স্থাপনায় এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে। এসব হামলায় বেসামরিক লোকজনের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
ভারত সরকার দাবি করেছে, তাদের ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে পাকিস্তানের নয়টি বিভিন্ন জায়গা নিশানা করা হলেও কোনো সামরিক ঘাঁটি আক্রমণ করা হয়নি। তবে পাকিস্তানি পক্ষের বক্তব্য—তারা প্রতিরোধে অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে “লজ্জাজনক” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের দীর্ঘ উত্তেজনার মাঝে এ ধরনের বিমান হামলা দুঃখজনক।”
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে “সর্বোচ্চ সামরিক সংযম” বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “এই সংঘাত আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে গেলে বিশ্বশান্তির জন্য বড় হুমকি তৈরি হবে।”
দু’দেশের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা পেহেলগাম হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি, তাই পর্যটন, বাণিজ্য ও সাধারণ সূচনাচক্র ব্যাপকভাবে বিঘ্নগ্রস্ত হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অগ্রগতি বা শান্তি আলোচনার কোনো স্বস্তিময় পরিপ্রেক্ষিত তৈরি হওয়া কঠিনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তীব্র।
