রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গরুটি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রংয়ের হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ‘কালা বাবু’ গরুটি আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরো শরীরটাই কাল আর বিশাল দেহী হওয়ায় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কাল বাবু’। ওজন প্রায় ২০ মণ হবে ধারণা গরুটির মালিকের। কালা বাবুকে একনজর দেখতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এলাকার মানুষ অনেকেই ধারণা করছেন, এটিই উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু।
গরুটির মালিক রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন।
রোববার পহেলা জুন সকালে সরেজমিনে গেলে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, আড়াই বছর আগে গ্রামের একজনের কাছ থেকে ফ্রিজিয়াম জাতের কাল রঙের এ ষাঁড় বাছুরটি কিনেছিলাম। তার পর থেকে আমি গরুটির লালন পালন করি। খুব শান্ত স্বভাবের। শখ করে নাম রাখি ‘কালা বাবু’ ।
এর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাচা ঘাস, ভুসি, চালের গুড়ো, ভুট্টা, অ্যাংকর ডাল ও খৈল । তার পেছনে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ৭শ টাকা। পাইপ দিয়ে প্রতিদিন গোসল করাতে হয়। গরমে আরামের জন্য ফ্যান ও মশা তাড়াতে দৈনিক ৪টি করে কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এলাকা ও দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ দেখতে আসে গরুটিকে। মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘খুব শখ করে সন্তানের মতো লালনপালন করছি। এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রি করে দেবো এটা ভাবতে পরিবারের সকলকে ভিষণ খারাপ লাগছে। কেমন দাম চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম ৬ লাখ টাকা রেখেছি। যারা কালা বাবুকে নেবেন তারা নিজেরাই দেখে মেপে দাম করে নিয়ে যাবেন। তিনি আরও জানান আজ রবিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট নেকমরদ হাটে গরুটিকে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে যে কেউ দেখে শুনে দাম করে কিনতে পারবেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন,এ উপজেলায় জানা মতে এখন পর্যন্ত মনেয়ার হোসেনের ‘কালা বাবু’ গরুটিই সবচেয়ে বড়। কোরবানির পশুর হাটে এটি আকর্ষণীয় হবে এবং অনেক টাকা মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি
