রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বাংলাদেশ প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (২য় ফেজ) প্রকল্পের আওতায় অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২ জুন)দুপুরে
সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ঠাকুরগাঁও সহকারী পরিচালক মোছা: সাইয়েদা সুলতানা। প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল মাজলুবিন রহমান।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সমাজসেবক আব্দুল হামিদ, ইউপি চেয়ারম্যান জিতেন চন্দ্র বর্মন, শরৎ চন্দ্র রায়, প্যানেল চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ, ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের কর্মকর্তা খায়রুল আলম, প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি সফিকুল ইসলাম শিল্পী, প্রেসক্লাব সভাপতি আশরাফুল আলম প্রমুখ।
সেমিনারে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ১০টি প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠী প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী মৃৎ শিল্প, কামার, বাঁশ-বেত ও কাঁসা-পিতলের পণ্য প্রস্তুতকারক কিংবা মুচি’র মতো বেশ কিছু পেশা আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য। এটি যেন কালের গর্ভে হারিয়ে না যায়, এজন্য এদের নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তর কাজ করছে। এসব কাজে যারা জড়িত, তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান সমুন্নত রাখা এবং আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিল্পকে আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব হিসাবে গড়ে তুলতে হবে, দেশের ঐতিহ্যপূর্ণ প্রান্তিক পেশাজীবীদের পণ্যসমূহ আধুনিক টেকসই ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগ্রহ প্রকাশের সাথে সঠিক বাছাই,পরবর্তী প্রশিক্ষণ এবং কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে এসব পেশায় জড়িতদের যথাযথ উন্নয়নকল্পে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা প্রধান করেন প্রধান আলোচক।সেমিনারে কামার, কুমার, নাপিত, জেলে,বাঁশ ও বেতশিল্পী, জুতা প্রস্তুত ও মেরামতকারী, নকশীকাঁথা শিল্পী এবং হস্তশিল্প কারিগরসহ ১০টি প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
