শান্ত-মুশফিকে গল টেস্টে ব্যাট হাতে কর্তৃত্ব করেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে দল তিন উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় ও শেষ সেশনে দাপট দেখিয়েছেন তারা দু’জন। নাজমুল শান্তর পর মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের জুটি গড়েছেন তারা। বাংলাদেশ ৮৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করেছে।
শান্ত ও মুশফিকের সেঞ্চুরি
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৪৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায়। শূন্য করে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। সাদমান ইসলাম ১৪ ও মুমিনুল হক ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। সেখান থেকে জুটি গড়েন নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে শান্ত ২৪৩ বলে ১২৯ রান করে খেলছেন। টেস্টের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তিনি ১৪টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন। রান খরায় থাকা মুশফিক ১৭৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি।
শান্ত-মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি, জুটির একশ
দ্বিতীয় সেশনে শান্ত-মুশফিকের জমাট ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। শান্তর ফিফটির পর অর্ধশতক হাঁকালেন মুশফিকও। দুজনের জুটিতে একশ’ও পেরিয়ে গেছে। মুশফিক ৫০ ও নাজমুল ৫১ রানে ব্যাট করছেন। ১৯১ বলে ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন। টেস্টে এটা মুশফিক ও শান্তর সর্বোচ্চ রানের জুটি।
শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে ১০০ পেরিয়ে বাংলাদেশ
চতুর্থ উইকেটে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন শান্ত ও মুশফিক। এতে ১০০ পেরিয়ে গেছে দলীয় স্কোর। ৩৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১১৬। ৫৩ বলে মুশফিকের রান ৩৫। শান্তর রান ৬৪ বলে ৩৫।
এর আগে গল টেস্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে ভালো লেংথের বল ব্যাটে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিজয়। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর শান্তকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সাদমান ১৪ ও মুমিনুল ২৯ রান করে ফিরে যান।
