রতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হঠাৎ করেই উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন, যা দেশের প্রতিরক্ষা এবং কূটনৈতিক মহলে জোরালো আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার (১২ মে) রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত এ গোপনীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—তিন বাহিনীর প্রধান,প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, সিডিএস (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) জেনারেল অনিল চৌহান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা ।
বৈঠকটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চার দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
গত শনিবার এক যৌথ ঘোষণায় দুই পক্ষ সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মধ্যস্থতায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি—ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। সূত্র জানায়, উত্তেজনা প্রশমনের পরবর্তী ধাপ নির্ধারণে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
এই বৈঠক নিয়ে এখনো সরকারি কোনো বিবৃতি না এলেও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু যুদ্ধবিরতির কৌশলগত পর্যালোচনার জন্য নয়, বরং ভারতের অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সম্ভাব্য রদবদলের ইঙ্গিত বহন করছে।
