![]()
মো: সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ ৭ই নভেম্বর, শুক্রবার, শার্শা থানা বিএনপির অঙ্গ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শার্শা থানার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শার্শা থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, এবং সঞ্চালনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও শার্শা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, শার্শা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু, শার্শা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু, শার্শা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজউদ্দীন তাজ, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শার্শা থানা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদ, শার্শা থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু, শার্শা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মেহেদী হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রিপন, শার্শা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম আব্দুল হক, যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান শাওন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বিপ্লব মণ্ডল, শার্শা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন, সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন, বেনাপোল পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জনি হায়দার, বেনাপোল পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ শাওনসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীবৃন্দ।
যশোর–১ (শার্শা) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জনাব মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। এই দিনে সিপাহী ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছিল এবং সেই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই মুক্তি পান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি জনগণের আস্থা ও সেনাদের সমর্থনে জাতির নেতৃত্ব গ্রহণ করে গণতন্ত্র, দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের শেখায়—যখন জনগণ ও সৈনিক ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন কোনো অন্যায় বা অবিচার স্থায়ী হতে পারে না। আজ সেই চেতনা থেকেই আমাদের আবারও জেগে উঠতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র বিপন্ন, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করা এখন সময়ের দাবি।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি যশোর–১ (শার্শা) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সামনে এসেছি। আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের সেবক। আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও ভোটই হবে আমার শক্তি।” তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চলুন, আমরা সবাই মিলে ধানের শীষে ভোট দিয়ে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বিপ্লব গড়ে তুলি—যেখানে থাকবে মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও উন্নতির নিশ্চয়তা।”
বক্তৃতার শেষে তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে দেশপ্রেম, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পথে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ চিরজীবী হোক, গণতন্ত্রে বিজয় হোক, আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

