ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা ও আইনজীবী মণীশ শুক্লা হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ টিটাগড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ টিটাগড় থানার উল্টোদিকে একটি বাজারে নিজের কার্যালয়ের সামনেই ওই নেতাকে গুলি করে হত্যা করে মোটরবাইকে করে আসা অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
ওই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি আজ ব্যারাকপুর বনধের ডাক দেয়। বিজেপি নেতাদের দাবি হত্যার ঘটনায় রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের হাত রয়েছে। তারা এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত দাবিসহ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছেন। বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমরা চাই, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হোক।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ অবশ্য বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ওই ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার বিকেলে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। অপরাধীদের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করবে। উত্তর প্রদেশের মতো এনকাউন্টার করে মেরে ফেলবে না। সবার সমানে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আসবে।
আজ সোমবার সকাল থেকেই টিটাগড় এলাকায় দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশ এবং মণীশ শুক্লার অনুগামীদের মধ্যে। বিজেপি নেতা হত্যা তদন্তে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে সিআইডি। আজ সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর-কাচের বোতল নিক্ষেপ করা হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে এসময়ে কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করতে হয়। বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় শুরু করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। আজ বিকেলে খড়দহে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোলযোগপূর্ণ এলাকায় ‘ব়্যাফ’ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্রঃ মানবকণ্ঠ
সংবাদটি ভালো লাগলে অথবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে লাইক দিন।
